×

জাতীয়

করোনায় সাংগঠনিক বিধি নিষেধও মানছে না বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২০, ১০:৫৯ এএম

দলীয় গঠনতন্ত্র ও করোনাকালীন সাংগঠনিক বিধিনিষেধ এবং মানবিক দিক অমান্য করছে বিএনপি। শূন্যপদ গুলোতে নিজের মতো করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তড়িঘরি করে নেতা বসাচ্ছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এ নিয়ে দলটির সিনিয়র নেতার রয়েছেন মহা অস্বস্তিতে।

করোনা মহামারীর কারণে গতকাল ২৫ জুন পর্যন্ত দলের কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম ¯’গিত রয়েছে। গত ৮ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ। কিন্তু সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা অবস্থাতেই কোন আলোচনা ছাড়াই ২২ জুন উত্তরের ওই খালি পদে বসানো হয়েছে সহ সভাপতি আবদুল আলীকে। কিন্ত দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার কথা কমিটির এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জানের।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গঠনতন্ত্রে দলের চেয়ারম্যানকে দলের নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য সবর্ময় ক্ষমতা ও দায়িত্ব দেয়া আছে। সে ক্ষমতাবলে তিনি এ দায়িত্ব দিয়েছেন। দলে এ ধরনের দৃষ্টান্ত অনেক আছে। এখানে গঠনতন্ত্রের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

এ নিয়োগটি নিয়ে আলোচানা এখন বিএনপির সর্ব মহলে। মহানগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাদের (সিনিয়র পনতাদের) এ নিয়ে প্রশ্ন করলে দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া কোনো উত্তরও দিতে পারছেন না। মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল বাছিত আঞ্জু বলেন, দলের গঠনতন্ত্রে আছে, সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে প্রথম যুগ্ম সম্পাদক দায়িত্বপালন করবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একে তো গঠনতন্ত্র মারা হয়নি, তার ওপর যার দায়িত্ব পাওয়ার কথা সেই আনোয়ারুজ্জামান তখন লকডাউনের কারণে বাসায় আটকা পড়েছেন। এই সময়ে অন্যকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, যার পদ পাওয়ার কথা তিনি লকডাউনে আটকা পড়ার সুযোগে ওই পদে অন্যকে বসানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে মহানগরের ক্ষুব্ধ নেতারা এ নিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক ঘটনা জানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এসব সিনিয়র নেতা মহানগর নেতাদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তারাও কিছুই জানেন না।

জানতে চাইলে উত্তরের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার বলেন, গঠনতন্ত্রে পরিষ্কার বলা আছে, দলের ইতিহাসে এমনভাবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন হয়নি। শুধু আমার বেলায় হলো। আমি এখন লকডাউনে আটকা আছি। আমার বিশ্বাস, শীর্ষ নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে এ কাজটি করা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ৩০ জুন লকডাউন শেষ হলে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

উত্তরের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বলেন, একজন সাধারণ সম্পাদক মারা যাওয়ার ৪০ দিনও পার হলো না এমনকি ঘটল এমন সিদ্ধান্ত দিতে হলো? এত তড়িঘড়ি কেন? চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কোনো আন্দোলন সংগ্রামও নেই। ১২ বছর ধরে দল ক্ষমতার বাইরে, এখনো যদি আমরা ঠিক না হই কবে ঠিক হতে পারব?

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App