×

রাজনীতি

‘যতবার খুশি বাড়ানোর’ বিল প্রত্যাহারের দাবি বাসদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২০, ০৭:১৯ পিএম

‘যতবার খুশি বাড়ানোর’ বিল প্রত্যাহারের দাবি বাসদের

গ্যাস-বিদ্যুৎ

বছরে যতবার খুশি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০’ উত্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। অবিলম্বে অবিরাম দাম বৃদ্ধির এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। গত ২৩ জুন জাতীয় সংসদে ওই বিল উত্থাপনের প্রতিবাদে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বজনের অর্থের অপচয় করে নাটক করার জন্য বানানো হয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি)। গণশুনানিতে বারবার প্রমাণিত হয়েছে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নয় বরং কমানো উচিত এবং তা সম্ভব। ততোবার সরকারের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাম বাড়িয়েছে তারা। এখন এই প্রতিষ্ঠান দিয়ে আরও স্বেচ্ছাচারীভাবে দাম বাড়ানোর জন্য এই বিল আনা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে সরকার মালিকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। সমুদ্রের সম্পদ অনুসন্ধানে উদ্যোগ না নিয়ে গ্যাস সংকট জিইয়ে রাখা হয়েছে। সেই অজুহাতে বেশি দামে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার দেশের নিজস্ব গ্যাস-তেল সম্পদ রফতানির বিধান রেখে বিদেশি কোম্পানিকে ডাকছে। এসব কারণে বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয়। এই বোঝা জনগণের ওপর চাপাতে বারবার গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। উপরন্তু ঘরে ঘরে দেওয়া হচ্ছে ভুতুড়ে বিল।

তারা জানান, ২০১০ সালে পাস করা দায় মুক্তি আইনের সহায়তা নিয়ে সব দেশবিনাশী চুক্তি করা হচ্ছে। আর এখন যখন তখন গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে নতুন আইন।

বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে গ্যাস বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির এই বিল প্রত্যাহার করে জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান। তাতে রামপাল, রূপপুরসহ ‘প্রাণবিনাশী জাতীয় অসুস্থতা বৃদ্ধির প্রকল্প’ ছাড়াই কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথনির্দেশ করা হয়েছে বলে কমিটি জানায়। একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদও। দলটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এ বিলটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App