×

রাজধানী

করোনা রোধে ন্যাশনাল হেলথ কমান্ড প্রতিষ্ঠার দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২০, ০৫:৪৩ পিএম

করোনা রোধে ন্যাশনাল হেলথ কমান্ড প্রতিষ্ঠার দাবি

সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স এবং আর্ক ফাউন্ডেশনের সভা। ছবি: ভোরের কাগজ।

কোভিড ১৯ বিস্তার রোধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ন্যাশনাল হেলথ কমান্ড প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের সাথে অন্যান্য আইন জড়িত থাকায় ন্যাশনাল হেলথ কমান্ডের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের এ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ ট্রাস্ট) এবং আর্ক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ওয়েবনারে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। ওয়েবনারে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির একেএম মাকসুদ, আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. রোমানা হক। এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে গবেষণা উপস্থাপন করেন এডভোকেট কানিজ কান্তা এবং আইনজীবী তামান্না তাবাসুম।

গবেষকদ্বয় বলেন, এ কথা স্বীকার করতে হবে এই দূর্যোগে সাধারণ ছুটিতে বাংলাদেশ উন্নত কল্যাণকর রাষ্ট্রের মতো অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমন্বয় এবং পরিকল্পনার অভাবে সাধারণ ছুটি বা লক ডাউন প্রত্যাশিতভাবে কার্যকর হয়নি। সিএলপিএ ট্রাস্টের গবেষণা ও বিশ্লেষনে দেখা যায় লক ডাউন বা সাধারণ ছুটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতামতকে প্রধান্য দেয়া হয়নি।

ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেতৃত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি বলেন তৃণমূল হতে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবার সমন্বয়ের জন্য ন্যাশনাল হেলথ কমান্ড জরুরি। জনাব একেএম মাকসুদ বলেন, আইনের বাস্তবায়নের লক্ষে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জনগনকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। কোভিড ১৯ কিছু বিশেষ অবস্থার সৃষ্টি করে, গবেষণার মাধ্যমে ঐ বিষয়গুলো তুলে এনে আইনটি সংশোধন করা জরুরি।

ড. রোমানা হক বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে বিকেন্দ্রীয়করণ করা উচিত, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবায় একটি রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের হাতে নেই। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্যও আইন করা প্রয়োজন। একটি বিষয় প্রথমে অনুধাবন করতে হবে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মালিক নয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবার যে কোনো দায় চিকিৎসকদের উপর আসে। সরকারের উচিত সকল বেসরকারী হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা করে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসা এবং কোভিড কালীন সরকার কর্তৃক বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App