×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ফের পানি বৃদ্ধি, বন্যা আতঙ্ক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২০, ১০:২৬ পিএম

কুড়িগ্রামে ফের পানি বৃদ্ধি, বন্যা আতঙ্ক

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রধান তিনটি নদ-নদীর পানি সব কয়টি পয়েন্টে সতর্কীকরণ পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হুহু করে বাড়ছে পানি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এমন আভাস কুডিগ্রাম বন্যানিয়ন্ত্রণ সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হবে। এ খবরে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল সরকার জানান, উজানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত। ফলে সেখানে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করেছে। এতে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী নীচু এলাকা গুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে বলে খবর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ঠ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।  ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৬টি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় যাত্রাপুর, নুনখাওয়া, নারায়ণপুর ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি চরের নিম্নাঞ্চলসহ নদ-নদী অববাহিকার নীচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের উঠতি ফসল বাদাম, তিল, কাউন, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত। এতে করে কৃষকরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়াও এসব এলাকা বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখ এবং জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তখন ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর উপজেলা ও নাগেশ্বরীর কিছু অংশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই প্রকৌশলীর দাবী পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নদী ভাঙনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু ভাঙনকবলিত এলাকায় আমরা জরুরিভিত্তিতে কাজ অব্যাহত রেখেছি।

তবে বাস্তবে কোথাও তাদের জরুরি পদক্ষেপ এর কোনো কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App