চলে গেলেন ‘মেমসাহেব’র স্রষ্টা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২০, ০৬:২২ পিএম
কথাসাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য।
বাংলা ভাষার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর বিখ্যাত ও জনপ্রিয় উপন্যাস হচ্ছে ‘মেমসাহেব’। এই ‘মেমসাহেব’ উপন্যাস তাঁকে লেখক হিসেবে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় প্রকাশনা সংস্থা দে’জ পাবলিশিং। নিমাই ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রকাশনা সংস্থাটি বলেছে, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য তাঁর সাহিত্য পাঠকদের জন্য রেখে গেলেন।
১৯৩১ সালে নিমাই ভট্টাচার্য ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও তার আদিনিবাস বাংলাদেশের যশোরে। যশোরের সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়েছেন তিনি। তারপর ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় চলে যান কলকাতায়। পেশাগত জীবন শুরু হয় সাংবাদিকতা দিয়ে। তার প্রথম উপন্যাস ছাপা হয় অমৃত পত্রিকায় ১৯৬৩ সালে। উপন্যাসটি পাঠকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নেয়। ১৯৬৮ সালে প্রকাশ পায় ‘মেমসাহেব’ উপন্যাস। এ উপন্যাসই পাঠক মহলে তাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়। তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১৫০টিরও বেশি।
তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মেমসাহেব’ চলচ্চিত্র রূপ পায় ১৯৭২ সালে। তাতে কেন্দ্রীয় বাচ্চু চরিত্রে অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার। এছাড়া আরো অভিনয় করেছিলেন মেমসাহেব হিসেবে অপর্ণা সেন। পরে তার আরও অনেক উপন্যাসের চিত্রায়ণ হয়েছে।
অমৃত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘রাজধানীর নেপথ্যে’ ছাপা হওয়ার পর লিখেছেন ‘রিপোর্টার’, ‘পার্লামেন্ট স্ট্রিট’, ‘ডিপ্লোম্যাট’, ‘মিনিবাস’, ‘মাতাল’, ‘ইনকিলাব’, ‘ব্যাচেলর’, ‘কেরানি’, ‘ডার্লিং’, ‘নাচনি’, ‘প্রিয়বরেষু’, ‘পিকাডিলী সার্কাস’, ‘কয়েদী’, ‘জংশন’, প্রবেশ নিষেধ, ‘ম্যাডাম’, ‘ককটেল’, ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, ‘অ্যাংলো ইন্ডিয়ান’ ইত্যাদি উপন্যাস। জীবদ্দশায় সাহিত্যকর্মের জন্য অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন বরেণ্য এই কথাসাহিত্যিক।