×

সারাদেশ

শ্রমিক লীগ করলেই কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির হুমকি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ০৯:১৬ পিএম

শ্রমিক লীগ করলেই কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির হুমকি

ড. মোল্লা আমির হোসেন। ছবি: প্রতিনিধি

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির হুমকির ও হয়রানিমূলক বদলির পরিত্রাণ চেয়েছে শিক্ষা বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এ ব্যাপারে সম্প্রতি সংগঠনটির নেতারা প্রতিকার চেয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানকে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিকলীগ যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

অভিযোগে বলা হয়, বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন এর আগে যশোর বোর্ডে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তার বিরুদ্ধে ক্রয়সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়। কিন্তু তখন সিবিএ নেতারা মোল্লা আমির হোসেনকে নৈতিক কারণেই সহযোগিতা করেনি। তাই এখন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে হয়রানি করতে একের পর এক সিবিএ নেতাকে বদলি করা হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না করা হলে কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বুধবার ভোরের কাগজে পাঠানো জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন গত ২৯ জানুয়ারি যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর শিক্ষা বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন রেজি নং খুলনা-২১২৭ (সিবিএ) ও যশোর শিক্ষা বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী লীগের সমর্থিত নেতৃবৃন্দদের চাকরিচ্যুতির হুমকি ও হয়রানি মূলক বদলি এবং সিবিএ কে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করার পায়তারা করছেন। বোর্ড চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে শ্রমিক লীগ করলে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেছেন বলেও ওই প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনি (প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন) বোর্ডে সচিব থাকাকালীন প্রশ্নপত্রের খাম এবং দরপত্র কাটাকাটি, জরুরী প্রয়োজন দেখিয়ে স্পট কোটেশনে কোটি টাকার অধিক কাজ ক্রয় করা, কম্পিউটার, প্রিন্টার যন্ত্রাংশ উত্তরপত্র ও অতিরিক্ত উত্তর পত্রসহ বিভিন্ন কেনা কাটায় অনিয়মের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে আদালতে ও দুদুকে মামলা এবং আদালত অবমাননার মামলাসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় আপনার বিরুদ্ধে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করা ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বোর্ডে সচিব থাকাকালীন বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন প্রশ্নপত্রের খাম এবং দরপত্র কাটাকাটি, জরুরী প্রয়োজন দেখিয়েস স্পট কোটেশনে কোটি টাকার অধিক কাগজ ক্রয় করা, কম্পিউটার, প্রিন্টার যন্ত্রাংশ উত্তরপত্র ও অতিরিক্ত উত্তর পত্রসহ বিভিন্ন কেনা কাটায় অনিয়মের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে আদালতে ও দুদুকে মামলা এবং আদালত অবমাননার মামলা হয়।

এসব ঘটনায় স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই সময় তিনি সিবিএ এর সহযোগিতা কামনা করেছিলেন। কিন্তু অনৈতিক কাজে সিবিএ এর নেতৃবৃন্দ তখন তাকে সমর্থন করেনি। রবিবার (২১ জুন) সকালে যশোর শিক্ষাবোর্ড এমপ্লয়িজ ইউয়িনের নেতৃবৃন্দর চিঠিটি চেয়ারম্যানের দপ্তরে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, যশোর শিক্ষাবোর্ডে নির্বাচিত সিবিএ ও শ্রমিক কর্মচারী লীগের একটি কমিটি আছে। সিবিএ এর প্রায় সকল নেতৃবৃন্দই যশোর শিক্ষাবোর্ড শ্রমিক কর্মচারী লীগ ও যশোর জেলা শ্রমিক লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে। আনীত অভিযোগের ব্যাপারে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এক কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App