×

খেলা

রহস্যের খোলাসা করলেন সাকিব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ০৪:৪৩ পিএম

রহস্যের খোলাসা করলেন সাকিব

সাকিব

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জীবনে গতবছর বয়ে গেছে বেশ বড় ঝড়। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন তিনি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি) কর্তৃক নিষিদ্ধ হলেন দুই বছরের জন্য যার মধ্যে এক বছর স্থগিতাদেশসহ। এর ফলে সকল ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে রয়েছেন সাকিব। কিন্তু আর বেশিদিন নয়, এ বছরের অক্টোবরে তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে এবং ক্রিকেটে ফেরার কথা রয়েছে। তবে এখনো ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগে কেন সাকিব জোয়ারীর প্রস্তাব গোপন করেছিলেন?

অবশেষে ক্রিকবাজে এক সাক্ষাৎকারে এই রহস্যের খোলসা করেছেন সাকিব নিজেই। তার এই অপরাধের কারণে ৫ থেকে ১০ বছরের শাস্তি হতে পারতো, কিভাবে এত বড় শাস্তি থেকে রেহাই পেলেন এ বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি।

করোনাকালে আপাতত সবধরনের ক্রিকেট বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন টাইগার অলরাউন্ডার। ঘর বন্দী অবস্থায় জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে ক্রিকেবাজে আড্ডায় মেতে ছিলেন সাকিব আল হাসান।

ক্রিকেট নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সাকিব তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলেন, 'আমার মনে হয়, আমি এটা একটু বেশিই হালকাভাবে (ক্যাজুয়ালি) নিয়েছিলাম। অবশ্যই আমি এই প্ল্যাটফর্মে বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করতে চাই না। আমি যখন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলাম এবং বললাম, তারা সবকিছু জানে, সব প্রমাণ দিলাম, ভেতরে-বাইরের সবকিছু তারা খুঁটিনাটি সব জানে, সত্যি কথা বলতে, এই কারণেই মাত্র ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। নইলে ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম। আমার মনে হয়, বোকার মতো ভুল করেছিলাম। কারণ যে অভিজ্ঞতা আমার আছে, যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমি খেলেছি এবং দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে যতগুলি ক্লাস করেছি, আমার ওই ভুল করা উচিত হয়নি। সেটা নিয়ে আমি অনুতপ্ত।'

জুয়াড়ির কাছ থেকে একবার নয়, দুবার নয় তিন তিনবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পরেও তা গোপন করেছিলেন সাকিব। বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেলেও, দৃষ্টি এড়ানি আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের। তারা ঠিকই খোঁজ পেয়েছেন সাকিবের তথ্য লুকানোর। আর তাই তো সব তথ্য প্রমাণ একত্রিত করে সাকিবকে চেপে ধরলেন।

আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে কেন জুয়াড়ির কথা জানাননি? ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের এ প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন সাকিব। জবাবে সাকিব জানান তিনি আসলে বিষয়টাকে এমন হালকাভাবে নিয়েছিলেন যে ঘটনাটি ভুলেই গিয়েছিলেন।

টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, 'দেখুন, আমরা হাজারও ফোনকল পাই, ম্যাসেজ পাই, কয়টা আর মনে থাকে! একটা উদাহরণ আমি দিতে পারি, ওই লোকটি যখন শেষবার ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল, আমি জবাব দিয়েছিলাম, ‘সরি, কার সঙ্গে কথা বলছি?’ তার মানে, আমার মনেও ছিল না, কার সঙ্গে কথা বলছি। তার সঙ্গে আগে কথা বলেছি ২-৩ বছর আগের। ওই সময় আমি জানতামও না লোকটা কে। ওই সময় তার নম্বরও আমার কাছে ছিল না।'

নিজে ভুল করে সেই ভুলের কারণে অনুতপ্ত সাকিব। আর সেই সঙ্গে অন্যদেরও জানালেন এমন কোনো ভুল না করার কথা। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, 'যাই হোক, তারা যখন (আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ) তদন্ত করেছে, এসব তারা জানত এবং পরিস্থিতি বুঝেছে। তবে আসলে এই বিষয়টি কারোরই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। ওই ধরনের কোনো ম্যাসেজ বা কল কারো হালকাভাবে নেয়া উচিত নয় বা ওভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানানো উচিত নিরাপদে থাকতে হলে। এই শিক্ষা আমি পেয়েছি, বড় শিক্ষা এটি।'

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App