×

রাজধানী

কাউন্সিলরের বিচার চেয়ে হকার শ্রমিকদের মানববন্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ১০:৪০ পিএম

কাউন্সিলরের বিচার চেয়ে হকার শ্রমিকদের মানববন্ধন

রমিকদের মানববন্ধন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেনের নেতৃত্বে পরিবহন কাউন্টারে হামলা, ক্যাশ লুট ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে গুলিস্তান, মুক্তাঙ্গন, বায়তুল মোকাররমের সামনের ফুটপাথ ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

বুধবার (২৪ জুন) বিকেলে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা। এসময় ১৩ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক, ১৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সামিউল আবেদ সুমনের বিচার চান তারা। পরিবহন ব্যবসায়ী ও ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উৎসব কাউন্টারের রফিক, ফুটপাথ ব্যবসায়ী মনির হোসেন, কলু, শরিফ, বুলেট, ইমরান, আলমগীরসহ অনেকে। এতে প্রায় দুই শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক অংশ নেয়।

বক্তারা বলেন, আমরা ফুটপাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার লোকজন আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে গত সোমবার উৎসব পরিবহন কাউন্টারে হামলা করে বন্ধ করে দেয় আবুল হোসেনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সামিউল আবেদ সুমন গংরা। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতারা অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউসার হত্যার আরেক পলাতক আসামি শর্টগান সোহেল ঢাকায় ফিরে এসে সব নিয়ন্ত্রণে নিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও কাউন্সিলরদের ব্যবহার করছে।

বক্তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন, ১৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সামিউল আবেদ সুমন গংদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলিস্তানে গত সোমবার চাঁদার দাবিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী উৎসব পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করে ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। উৎসব পরিবহনের পরিচালকম মো. কাজল জানিয়েছিলেন, ১৩ নম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিমউদ্দিন অর্ধশতাধিক ক্যাডার নিয়ে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অবস্থিত পরিবহনটির টিকিট কাউন্টারে এসে প্রথমে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় কাউন্টারে ভাংচুর ও নগদ টাকা লুট করা হয়। এসময় তারা শাসিয়ে যায় কাউন্টার খুলতে হলে এবং এই এলাকায় দোকানপার্ট করতে হলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার এনামুল হক আবুলের অনুমোতি নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App