×

সারাদেশ

পানিকচুর কদর বেড়েছে, যাচ্ছে বিদেশেও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২০, ০৬:০৪ পিএম

পানিকচুর কদর বেড়েছে, যাচ্ছে বিদেশেও

স্থানীয়ভাবে ‘লতিরাজ’ কচু হিসেবে পরিচিত এই কচু

পানিকচুর কদর বেড়েছে, যাচ্ছে বিদেশেও

পানিকচু

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভাল বাজার মূল্য পাওয়ায় ডুমুরিয়া ও কৈয়খাইন গ্রামের কৃষকদের পানি কচু চাষে আগ্রহ বেড়েছে। চলতি বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। এখানকার উৎপাদিত কচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বাইরের দেশের বিভিন্ন স্থানেও।

এবার উপজেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ করেছে কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি চাষ হয়েছেও জনিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষক কর্মকতা সরোয়ার আলম। তিনি জানান, তাল মাধাম প্রজাতের কচু এ উপজেলায় বেশি আবাদ হয়। এবার কচু বীজ উপজেলার বাইরেও যাচ্ছে রোপনের জন্য।

উপজেলার ডুমুরিয়া ও কৈয়খাইন গ্রামের পানি কচু চট্টগ্রামের বিখ্যাত হওয়ায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসব কচু বাজারজাত করতে চাষীদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সাধারণ মানুষের কাছে পানি কচু চাহিদা থাকায় চাষীদের মূখে হাসির ঝিলিক। পানি কচু চাষীরা এখন তাদের জমিতে কচু চাষ করে ভাল লাভবান হচ্ছে। অনেকের কাছেই প্রিয় সবজি হয়ে উঠেছে।

[caption id="attachment_227531" align="aligncenter" width="300"] স্থানীয়ভাবে ‘লতিরাজ’ কচু হিসেবে পরিচিত এই কচু[/caption]

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রাম ও পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈয়খাইন গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে ১২০ হেক্টর জমিতে পানি কচু চাষ হয়েছে। সাধারণত পানি কচু লাভজনক হওয়ায় কচু চাষে চাষীদের আগ্রহ বেড়েছে।

স্থানীয় ডুমুরিয়ার চাষী মোহাম্মদ মিজান বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে এবার কচু চাষটা বেশি করেছি। কম সময়ে লাভজনক হওয়ায় বেশ কিছু জমিতে আমি পানি কচু চাষ করি। প্রতি বছরই কচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এখানে। এবার বেশ ফলন ভালো হয়েছে আশা করি আমি লাভবান হবো।

পাইকারী ব্যবসায়ী স্থানীয় কৈয়খাইন গ্রামের লিয়াকত আলী বলেন, আনোয়ারা উপজেলার ডুমুরিয়া ও কৈয়খাইনের কচু ভালো বলে চট্টগ্রাম শহরেও সুনাম রয়েছে। তাই এ কচু বেশি চাহিদা থাকায় আমরা চাষীদের কাছ থেকে কিনে শহরে বিক্রয় করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, উপজেলার প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে পানি কচু চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। পানিতে লবণাক্ত মাত্রা বেশি হওয়ায় কচু ও লতির স্বাদ ভালো হয়। স্বাদ ভালো হওয়ায় মানুষের চাহিদাও রয়েছে বেশি। বর্তমানে কচুসহ অন্যান্য সবজি আবাদের ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি আমরা। তিনি আরো বলেন, দেশ ছাড়িয়ে আবর আমিরাত, ইংল্যান্ড, আমেরিকার মত দেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App