×

মুক্তচিন্তা

জেআরসি কমিটির তাৎক্ষণিক প্রভাব প্রসঙ্গে

Icon

nakib

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২০, ০৯:১৯ পিএম

আমরা জেআরসি স্যারকে অবলম্বন করে ইপিবির মাধ্যমে মেহতাকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানালাম। বিসিএসের পক্ষ থেকে তার আসা-যাওয়ার টিকেট ও ইন্টারকন হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম। মেহতাকে মূল বক্তা রেখে আমরা ১৪ ডিসেম্বর ইপিবি-বিসিএসের যৌথ সেমিনারের ব্যবস্থা করলাম। সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল হাও টু এন্টার দ্য সফটওয়্যার এক্সপোর্ট মার্কেট।

১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এর পূর্ববর্তী ২১ বছরে বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদতার যে জঞ্জাল দিয়ে ভরে ফেলা হয় তা অপসারণের পাশাপাশি তৈরি হতে থাকে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পথনকশা। প্রযুক্তি বা তথ্যপ্রযুক্তিতে এই চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদ্যপ্রয়াত ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ১৯৯৭ সালে গঠিত ও সেই বছরেই সরকারের কাছে পেশকৃত জেআরসি কমিটির রিপোর্টটি ছিল প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান চিন্তারই ফসল। কমিটির সুপারিশ প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের ডিজিটাল পথযাত্রার ইতিহাসে আরো একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই কমিটির একজন সদস্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বাণিজ্য সংগঠন বিসিএসের চারবার ও বেসিসের একবার সভাপতি ও এসব সংগঠনের নির্বাহী কমিটিতে বহু বছর (অন্তত ১৮ বছর) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কমিটির সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পেরে আমি ধন্য। পরবর্তী সময়ে জেআরসি কমিটির সুপারিশের আলোকে ও এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি অতিদ্রুত বাড়তে শুরু করে। আমার নেতৃত্বে জন্মলাভ করে সফটওয়্যার উদ্যোক্তাদের সংগঠন বেসিস, যা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ট্রেডবডিগুলোর মধ্যে একটি বিরাট মহিরুহ হিসেবে আজ আবির্ভূত হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ বা ডিজিটাল যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতির বা ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক। এটি জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সুসংহত করার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। ১৯৯৬ সালের পর সাবমেরিন সংযোগ গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তির মহাসড়কে সংযুক্ত করার পথ সুগম হয়। বিএনপি সরকারের সময় দেশে সদ্যপ্রয়াত বিএনপির মন্ত্রী মুর্শেদ খানের সিটিসেল নামক একটি মাত্র মোবাইল কোম্পানিকে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই টেলিকম কোম্পানির সংযোগ ফি ছিল প্রায় লাখ টাকাÑ কল রেট ছিল আকাশচুম্বী। সঙ্গত কারণেই মোবাইল ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। একচেটিয়া ব্যবসার অবসান হয়। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পায় এ দেশের সাধারণ মানুষ। দেশের টেলিযোগাযোগ খাত পরিণত হয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার প্রস্তুতিও তখন শুরু করেছিল। জেআরসি কমিটির সুপারিশ অনুসারে সফটওয়্যারের রপ্তানিতে ব্যাপক সহায়তা করা, বেসিস গঠন করা, অভ্যন্তরীণ বাজারে সফটওয়্যারের বাজার সম্প্রসারণ, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ হাইটেক পার্ক ও কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রযাত্রা আবারো থমকে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের টেলিকম খাতের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন বাংলাদেশের এই খাতটিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টরে পরিণত করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২০Ñ এই ১১ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সক্ষমতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেই শুধু পাল্টে দেয়নি, পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। কোভিড-১৯ সারাদেশের যখন স্থলপথ, জলপথ, আকাশপথ স্থবির করে দিয়েছে তখন ডিজিটাল টেলিকম ব্যবস্থা বৈশ্বিক কঠিন দুর্যোগের সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে দিয়েছে। ঘরে বসে মানুষ ব্যাংকিং ও ডিজিটাল কমার্স থেকে শুরু করে টেলিকনফারেন্সসহ অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে আর এটাই হলো শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন মানুষও এই সুবিধা থেকে বাদ যায়নি। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয় বাস্তব।

দেওয়াং মেহতা ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি : জেআরসি কমিটির প্রথম সুপারিশটি ছিল কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করার। আমাদের কমিটির যে দলটি ভারত গিয়েছিল তারা অনুভব করেছিল যে ভারতের সফটওয়্যার রপ্তানির রূপকথার মতো সাফল্যের নেপথ্য কাহিনী জানার জন্য ভারতের নাসকমের নির্বাহী পরিচালক দেওয়াং মেহতার সঙ্গে আমাদের কথা বলা দরকার। কিন্তু ভারত সফরকালে তারা মেহতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। আমরা ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ জেআরসি রিপোর্ট পেশ করার পর আজিজ ভাই আমেরিকা যান। সেখানে তিনি জানতে পারেন যে, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত গ্রান্ড হায়াত হোটেলে নাসকম আয়োজিত এক সেমিনারে দেওয়াং মেহতা অংশ নেবেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তিনি সেখানে মেহতার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। মেহতা শর্ত দিলেন যে, তাকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানাতে হবে এবং তার আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আজিজ ভাই আমেরিকা থেকেই আমাকে ফোন করে দুটি শর্তসহ বিসিএস সম্মতি দেবে কিনা সেটি জানতে চাইলেন। আমি তখন কাজী নজরুল ইসলাম রোডের ভাড়া বাড়িতে থাকি। রাতের বেলা তিনি ল্যান্ডলাইনে ফোন করেন। আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজিজ ভাইয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দিলাম। আজিজ ভাই ঢাকা এসে সরকারি আমন্ত্রণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিলেন। আমরা জেআরসি স্যারকে অবলম্বন করে ইপিবির মাধ্যমে মেহতাকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানালাম। বিসিএসের পক্ষ থেকে তার আসা-যাওয়ার টিকেট ও ইন্টারকন হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম। মেহতাকে মূল বক্তা রেখে আমরা ১৪ ডিসেম্বর ইপিবি-বিসিএসের যৌথ সেমিনারের ব্যবস্থা করলাম। সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল হাও টু এন্টার দ্য সফটওয়্যার এক্সপোর্ট মার্কেট। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর দেওয়াং মেহতা না পৌঁছানোর জন্য আমরা সেমিনারটির আয়োজন করি ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৭। সেই সেমিনারে আমিই সভাপতিত্ব করি। প্রথমে কথা ছিল মন্ত্রীদের বক্তব্য শেষ হলে মেহতা কথা বলবেন। জেআরসি স্যারের মধ্যস্থতায় আমরা মন্ত্রীদের আগে মেহতাকে কথা বলাতে পারলাম। কথা ছিল মেহতা ১০ মিনিট কথা বলবেন। কিন্তু তিনি ৪০ মিনিট কথা বললেন। মেহতার বক্তব্যের পর মন্ত্রীরা মেহতার সুরেই কথা বললেন। এই একটি সেমিনারে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বস্তুত এক যুগ সামনে যেতে পেরেছিল। মেহতা, জেআরসি ও আমার বক্তব্যে আমাদের নীতিনির্ধারকরা বুঝতে সক্ষম হলেন যে আগত দিনগুলো তথ্যপ্রযুক্তির। তারা এটি বুঝতে পেরেছিলেন যে আগামীর যাত্রী হতে হলে ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছাতে হবে এবং সেজন্য কম্পিউটারকে বিলাস সামগ্রী হিসেবে গণ্য না করে এর বিস্তার ঘটাতে হবে। আমরা জেআরসি কমিটির প্রতিবেদনে সামগ্রিক বিষয়াদি তুলে ধরার পরও মেহতার মুখে ভারতের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাসটা শুনে আমাদের নীতিনির্ধারকরা একটা বড় ঝাঁকুনি পান। ২০০১ সাল পর্যন্ত এই বেগটা প্রবাহিত হয় এবং সেই পাঁচ বছরে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির পশ্চাৎপদতাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। ২০০১ সাল নাগাদ আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মানচিত্রের ভেতরে প্রবেশ করতে ক্ষম হই।

বিসিএসের সিদ্ধান্ত অনুসারে ১১ ডিসেম্বর থেকে বিসিএস কম্পিউটার শোর আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। বিসিএস শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত কম্পিউটারের দাবি অব্যাহতভাবে তুলে ধরা সত্ত্বেও ১৯৯৭-৯৮ সালের বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই আমরা বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সেই বিসিএস কম্পিউটার শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করেছিলাম তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে। ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ শেরাটনের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কিবরিয়ার প্রধান অতিথি হওয়া নিশ্চিত করেছিলেন আজিজ ভাই। এর আগে আমি বারবার চেষ্টা করেও মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ বিসিএস কম্পিউটার শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মরহুম কিবরিয়া সাহেবের বক্তব্য পেশের আগে আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের দাবি জানাতে থাকি। বিসিএসের তখনকার সহসভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিল। সেখান থেকে সে স্লিপ পাঠালো যে কিবরিয়া সাহেব আমার বক্তব্যে বিরক্ত হচ্ছেন এবং আমার উচিত কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি পেশ না করা। কাফির স্লিপ পেয়ে আমি বক্তব্য দ্রুত শেষ করলাম। কিবরিয়া সাহেব তার বক্তব্যে আমাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। অনুষ্ঠান শেষে তাকে কম্পিউটারের মেলা দেখালাম। মেলা দেখে তিনি এত খুশি হলেন যে যাওয়ার সময় আমাকে ও আমার টিমকে ধন্যবাদ দিলেন এমন আয়োজন করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় শাহ এ এম এস কিবরিয়া তার দৃষ্টিভঙ্গি বদল করেন এবং ১৯৯৮ সালের ৪ জানুয়ারি এক সভায় সফটওয়্যারের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেন। এরপর ১৯৯৮-৯৯ সালের বাজেটে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের ওপর থেকে সব শুল্ক ও কর তুলে নেন।

আমরা জেআরসি কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়নের কাজও জোরেশোরে করতে থাকি। আমাদের করণীয় একটি কাজ ছিল বেসিস গঠন করা। ১৯৯৭ সালে বেসিস গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮। সেদিনও আমরা ইপিবি ও বেসিসের উদ্যোগে ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করি। সেমিনারের বিষয়বস্তু একই ছিল- হাও টু এন্টার দ্য সফটওয়্যার এক্সপোর্ট মার্কেট। সেখানেও দেওয়াং মেহতা উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও তোফায়েল আহমেদ যারা মেহতার প্রথম সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন তারাও সেই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। আমি বিটিভির পক্ষে দুবারই মেহতার দুটি সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করি। আমার স্পষ্ট মনে আছে, মেহতাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, বল দেখি সফটওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে বড় ভুলটি কী? মেহতা বলেছিলেন, ভারত প্রযুক্তির ওপরের স্তরটার দিকে না তাকিয়ে কামলাগিরি করছে। আমি আশা করি এখন যারা ভারত-বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার ও সেবা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন তারা প্রয়াত মেহতার সেই কথাটির মর্ম অনুভব করবেন। করোনা-পরবর্তীকালে পুরো প্রেক্ষিতটি যে বদলে যাবে সম্ভবত সেটিও আমাদের অনুভব করতে হবে। মেহতা সেই ১৯৯৭-৯৮ সালে বুঝতে পেরেছিলেন যে আউটসোর্সিং নামক কামলাগিরি প্রযুক্তি দুনিয়ার ভবিষ্যৎ নয়, বরং উদ্ভাবন হচ্ছে বড় শক্তি। আমরা অন্তত সেটি এখন যেন বুঝতে পারি।

মোস্তাফা জব্বার : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App