×

খেলা

সন্দেহের তীর সাঙ্গাকারা-মাহেলার দিকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২০, ০৭:৫৭ পিএম

সন্দেহের তীর সাঙ্গাকারা-মাহেলার দিকে

সাঙ্গাকারা-মাহেলা

ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা এ কথা সবাই জানেন। এই খেলায় একটু ভুল করলে তার খেসারত দিতে হয় অনেক বেশি। তেমনি শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানদা আলুথগামাগে অভিযোগ করেছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালটি ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল লঙ্কান ক্রিকেট দল। এমনকি তার এমন অভিযোগের পর থেকেই উত্তাল লঙ্কান ক্রিকেট। তবে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ বেশ ভালোভাবেই আমলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কান সরকার। তার মন্তব্যের জেরে প্রায় ৯ বছর আগের বিশ্বকাপ ফাইনালের সকল ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

লঙ্কান সরকার বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রীকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রী দুলাস আলাহপেরুমা জানিয়েছেন এ তদন্ত নির্দেশের কথা।

২০১১ সালে বিশ্বকাপে ফিক্সিং এর বিষয় সন্দেহের তীর তাক করা হয়েছে দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনের দিকে। তারা দুজনই সাফ জানিয়েছেন, নিজের অভিযোগের পক্ষে যেন যথাযথ প্রমাণ দেখান মাহিন্দানদা। তাদের দুজনের সরব থাকার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর। এবার এ দুজনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। জানতে চেয়েছেন, কারও নাম না বলার পরেও কেন এ অভিযোগটি সাঙ্গা-মাহেলার গায়ে লাগল?

মাহিন্দানদার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাহেলা বলেছিলেন, মনে হচ্ছে নির্বাচন সামনে, তাই সার্কাস শুরু হয়ে গেল। তার মন্তব্যের জের ধরে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘আইসিসি এবং এন্টি করাপশন ও সিকিউরিটি ইউনিটের কাছে তাকে (সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী) প্রমাণ হাজির করতে হবে, যাতে করে এই অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে তদন্ত করা যায়।’

কথার জবাবেই ডেইলি মিররকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাহিন্দনদা বলেছেন, ‘মাহেলা বলল যে, সার্কাস নাকি শুরু হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারছি না সাঙ্গা ও মাহেলা এটার মধ্যে পড়ছে কেন? আমি তো আমাদের কোন খেলোয়াড়ের নাম বলিনি। প্রায় ত্রিশ মিনিটের সাক্ষাৎকার থেকে মাত্র দুই মিনিট নিয়ে কথা বলছে সবাই। অর্জুনা রানাতুঙ্গেও তো সেই ম্যাচের ফিক্সিং নিয়ে কথা বলেছিলেন।’

মাহিন্দনদার এ মন্তব্যের পর চুপ থাকেননি মাহেলা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ যখন বলে আমরা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ বিক্রি করে দিয়েছি, তখন অবশ্যই এটা বড় ইস্যু। কেউ মূল একাদশের অংশ না হয়ে কীভাবে ম্যাচ ফিক্সিং করতে পারে? আশা করি নয় বছর পর হলেও আমরা আলোকিত হবো।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App