×

জাতীয়

নিয়ম না মেনেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ চূড়ান্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ০৯:৩২ পিএম

নিয়ম না মেনেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ চূড়ান্ত

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। ফাইল ছবি।

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ১৫৭ মেডিকেল টেকোনলজিস্ট নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রমার্জনায় এদের নিয়োগের সুপারিশ থাকলেও সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য নয় বলে উল্লেখ ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত নিয়েগে মনোনীতিদের মধ্যে মাত্র ৯৫ জনের শিক্ষাগত ঠিক রয়েছে। বাকি ৬৩ জনের রয়েছে নানা অসঙ্গতি। এরই মধ্যে আবারো সারাদেশে চাওয়া হয়েছে নতুন তালিকা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক হাজার দুশ টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কথা থাকলেও অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তার (যাকে অবসরোত্তর কোভিড ১৯ সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত করা হয়) নেতৃত্বে একটি দুর্নীতিবাজ চক্র অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ১৮৩ জন টেকনোলজিস্টের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে। এসব অনিয়ম বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এ সংক্রান্ত তদন্ত না করে গত রোববার ও সোমবার ১৮৩ জনকে সশরীরে হাজির হয়ে কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়। এদের মধ্যে ১৫৭ জন হাজির হয়ে কাগজপত্র জমাদেন। জমা করা কাগজপত্র বাছাই করে দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় মেডিকেল ফ্যাকাল্টি থেকে পাস করা প্রার্থী রয়েছেন ৯৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৫০ জন, বিএসসি ইন টেকনোলজি পাস করা ৯ জন, সনদবিহীন প্রার্থী ২ জন এবং ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি পাস করা প্রার্থী ১ জন। তালিকায় একজন ফার্মাসিস্ট, যার ল্যাবরেটরি বিষয়ে কোনো শিক্ষা নেই। দু’জনের কোনো সনদই নেই। ৫০ জন কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা যাদের স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এসব অসঙ্গতি সুরহা না করে এদের চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদানে স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বুধবার নতুন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সব পরিচালক/লাইন ডাইরেক্টর, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, বিভাগীয় পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের কাছে এ কাজে স্বেছাশ্রমের ভিত্তিতে নিয়োজিত টেকনোলজিস্টদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। যা আগামী সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক এনটিপি ও লাইন ডিরেক্টর এমবিডিসি অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম জানান, ইউএনএফপিএর প্রকল্পে তিনি কতজন টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করেছেন সেটি জানতে চাওয়া হলে তিনি তালিকাটি পাঠিয়ে দেন। তবে প্রমার্জনায় এদের সরকারি নিয়োগের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। এমনকি তাকে কেউ জানাননি। পরবর্তীতে বিষয়টি গণ্যমাধ্যমে এলে পরিচালক প্রশাসনের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হন। পরে জানতে পারেন এরসঙ্গে অধিদপ্তরের কর্মরত নয় এবং উচ্চপদস্থরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App