×

বিনোদন

চাঁদে জমি কেনা একমাত্র ভারতীয় ছিলেন সুশান্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২০, ১১:৩৮ এএম

গত বছর তার ‘ছিচোরে’ ছবিতে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয়। অথচ তিনিই কিনা বাস্তবে সেই অনুপ্রেরণার কথা ভুলে জীবনে দাড়ি বসিয়ে দিলেন। জনপ্রিয় তরুণ নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বলিউডে। শুধুমাত্র বলিউড নয়, বলিউড ভক্তরা যেন মেনেই নিতেই পারছে না প্রিয় নায়কের এমন অকাল মৃত্যু। আত্মহত্যা নাকি হত্যা, এ নিয়ে নানা মহলে চলছে গুঞ্জন। মৃত্যুর আগে সুশান্তকে সবাই চিনতো একজন অভিনেতা হিসেবে। মৃত্যুর পর যেন সুশান্তকে সবাই চিনতে চাচ্ছে আরও বেশি কলে। আলোচনা হচ্ছে সুশান্তের জীবনঘটিত বিষয় নিয়ে। উঠে আসছে নানা তথ্য।

জানা গেছে সুশান্তই একমাত্র ভারতীয়, যার চাঁদে নিজের কেনা জমি আছে! আন্তর্জাতিক লুনার ল্যান্ডস রেজিস্ট্রির কাছ থেকে চাঁদে ‘সি অব মাসকোভি’ এলাকায় একখণ্ড জমি কিনেছিলেন তিনি। তার আগে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে এক ভক্ত চাঁদের একটুকরো জমি উপহার দেন।

তরুণ হলেও কম সম্পদশালী ছিলেন না সুশান্ত। সুশান্ত মোট ৫৯ কোটি রুপির সম্পত্তি রেখে গেছেন বলে জানা গেছে। ছবিপ্রতি তিনি পারিশ্রমিক নিতেন ৫-৭ কোটি রুপি। তবে এজন্য ৩৪ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছে অনেক।

কয়েকটি দামি বাহনের মালিক ছিলেন সুশান্ত। এর মধ্যে আছে বিএমডব্লিউ কে১৩০০আর মডেলের মোটরসাইকেল, ইতালিয়ান ব্র্যান্ড মাজেরাতি কুয়াত্রোপর্তের চকচকে গাড়ি এবং ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার সাভ। সুশান্তের ঘরে বেশ দামি একটি টেলিস্কোপ আছে। এটি দিয়ে শনি গ্রহ দেখা ছিল তার অন্যতম শখ। মহাকাশে তাকিয়ে সময় কাটাতে ভালো লাগতো তার। অত্যন্ত মুগ্ধ হয়ে চাঁদ, নক্ষত্র, সূর্য ও মহাকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে ভালো জানাশোনা ছিল এই তারকার। তিনি কাল্পনিক বিমান চালানোর একটি যন্ত্র কিনেছিলেন।

ভারতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় (পশ্চিম) কার্টার রোডের একটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় থাকতেন সুশান্ত। ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটির ভাড়া প্রতি মাসে চার লাখ ৫১ হাজার রুপি। করোনাভাইরাস মহামারিতে অবরুদ্ধ অবস্থায় (লকডাউন) শুটিং বন্ধ থাকায় কি তিনি আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন? এমন প্রশ্ন উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন তার বোন। তবুও পুলিশ ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখতে চায়।

মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটেই ১৪ জুন সুশান্তের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার মুম্বাইয়ের ভাইল পার্লে শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আত্মহত্যার মূল কারণ জানা নেই কারও। হয়তো কখনও জানা যাবে না। কারণ সুশান্ত কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি। ফ্ল্যাটে মিলেছে কেবল প্রেসক্রিপশন ও অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ। এসব দেখে মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল এটা আত্মহত্যা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও একই চিত্র। বিছানার চাদর গলায় প্যাঁচিয়ে ঝুলে থাকায় অ্যাসপিক্সিয়ার (অক্সিজেনের ঘাটতিতে দম বন্ধ হওয়া) কারণে মারা গেছেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুশান্ত ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন, তিনি মারাত্মকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App