ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সম্পাদক বহিষ্কার, নিন্দা-প্রতিবাদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২০, ১০:০২ পিএম
ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংসদ। সোমবার কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক ফরজুর মেহেদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়া তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচীও ঘোষণা করেছে তারা।
এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের যৌক্তিক সমালোচনা করলেই কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে ভয় ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিককে অভিযুক্ত করে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সভাপতি নূরুন্নবী ইসলাম সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিক বলেন, সরকারের সমালোচনা করলেই সারাদেশে যেভাবে দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে ইবি প্রশাসন তারই প্রতিনিধিত্ব করছে। একটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকে এভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাময়িক বহিষ্কার চরম অগণতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এভাবে প্রগতিশীল রাজনীতির গলা চেপে ধরার ফল শুভ হবে না। আমরা প্রশাসনকে আহবান করছি এই অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে অবগত হয়েছি। এখনও অফিসিয়ালি চিঠি পায়নি। চিঠি পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো। ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি সংসদও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
এছাড়া একই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ সংসদ। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের রংমহল চত্ত্বরে বিক্ষোভ করে তারা। এসময় ইবি প্রশাসনকে অবিলম্বে সাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায় নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন প্রয়াত নাসিম এবং দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে GK sadik নামের ফেসবুক আইডি থেকে ঐ শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন।
বিষয়টি অবগত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। এসময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায় তারা। পরে ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসন তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।