বলে লালার ব্যবহার নিয়ে যা বললেন জাহানারা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২০, ০২:৫৭ পিএম
জাহানারা আলম
করোনা কালে ক্রিকেটের নিয়ম কানুন বদলে যাবে তা আগেই অনুমান করতে পেরেছিল খেলোয়াড়েরা। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ক্রিকেটের জন্য নতুন পাঁচটি নিয়মের কথা জানিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি)। যার মধ্যে অন্যতম বল উজ্জ্বল করতে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে দেশে বিদেশে তারকা বোলারা বেশ সমালোচনা করেছেন।
লালার মাধ্যমে বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা ক্রিকেটারদের পুরনো অভ্যাস। তাই নতুন নিয়মে হয়তো একটু কষ্টই হবে তাদের। তবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের তারকা পেসার জাহানারা আলম বলেছেন ভিন্ন কথা। বল উজ্জ্বল করতে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কারণে কোন সমস্যাই হবে না তার। নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে বলের মধ্যে খুব বেশিবার লালা ব্যবহার করেননি তিনি। এমনকি সুইং আদায় করে নিতেও লালার প্রয়োজন পড়ে না জাহানারার। তবে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞায় সমস্যা না থাকলেও, জাহানারা পরামর্শ রেখেছেন নারী ক্রিকেটে ছোট মাঠ ব্যবহারের।
সম্প্রতি আইসিসির দেয়া নিয়মকানুনগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলে লালার ব্যবহার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জাহানারা বলেন, ‘লালার বিষয়ে আমি বলবো যে, আমি কখনই লালা ব্যবহার করি না। আমি দিনে ১০-১২ ওভার বোলিং করি। পুরো ক্যারিয়ারে হয়তো ২-৩ বার লালা ব্যবহার করেছি। আমি সবসময় ঘাম ব্যবহার করি। লালা ব্যবহার করে হয়তো বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা সহজ। তবে আমি মনে করি হালকা পানি দিয়ে ভিজিয়ে ট্রাউজারে ঘষলেও একই কাজ সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘লালা ব্যবহারে নিষেধজ্ঞা আমার জন্য কোন সমস্যা নয়। কারণ আমি অন্যভাবে এর অভ্যাস করেছি। আমার বাড়তি সুবিধা হলো, আমি নতুন বলে ন্যাচারাল সুইং পাই এবং বল পুরোনো হয়ে গেলে রিভার্স সুইংও করে। তাই এটি আমার জন্য কোন সমস্যা নয়।’
এছাড়া সম্প্রতি এক অনলাইন সেমিনারে ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার জেমাইমা রদ্রিগেজ এবং নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক সোফি ডিভাইন নারী ক্রিকেটের জন্য কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছেন।যেখানে ছিল হালকা বল এবং পিচের দৈর্ঘ্য কমানোর পরামর্শ।
এ বিষয়ে টাইগ্রেস পেসার জাহানারা বলেছেন,আমি মনে করি, নারী ক্রিকেটকে আরও উপভোগ্য করতে যদি বল ছোট করা হয়, পিচের দৈর্ঘ্য কমানো হয়, তাহলে এতে ব্যাটসম্যানদের সরাসরি সুবিধা হবে। আইসিসি এরই মধ্যে বোলারদের জন্য নতুন কিছু নিয়ম করেছে। যেগুলোর খসড়া সম্পাদনও হয়ে গেছে। একইসময় শোনা যাচ্ছে যে, পেস বোলাররা ফলো থ্রুতে আর উইকেট সোজা থাকতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করা বোলারদের জন্য খুবই কঠিন হবে। বোলারদের কাজটা আরও চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।’
বলের ওজন কিংবা পিচের দৈর্ঘ্য ঠিকই আছে জানিয়ে জাহানারা বলেন, ‘তাই আমি মনে করি, বলের ওজন কিংবা পিচের দৈর্ঘ্য ঠিকই আছে। তবে যদি বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়,যেমন আমরা এখন ৬৫ মিটার বাউন্ডারিতে খেলি। এটা যদি ৫৫ মিটার করা হয় তাহলে আরও উপভোগ্য হবে। বেশি বেশি চার-ছক্কা হবে। যা দর্শকদের জন্য আরও বেশি উপভোগ্য হবে।’