×

সারাদেশ

আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়লেও ভ্রুক্ষেপ নেই কারো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২০, ১১:৩৫ এএম

সিলেট জেলায় দীর্ঘ হচ্ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হচ্ছে, মৃতের তালিকায়ও যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। তবে ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন ভাবে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, সিলেট জেলাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা মোটেই যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত সিলেট জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৩০৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সিলেট জেলায় ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দুজন। এ নিয়ে সিলেট জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জনে। এদিকে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও সবকিছু চলছে স্বাভাবিক নিয়মেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল, দোকানপাট খোলা রাখার কথা বলা হলেও আদতে তা মানছে না কেউ। নগরীর বেশিরভাগ এলাকাতেই রাত ৮টা অবধি খোলা রাখা হচ্ছে দোকানপাট। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। পাড়া-মহল্লায় এ চিত্র আরো ভয়ঙ্কর। সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না জনসাধারণকে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চান যত দ্রুত সম্ভব লকডাউন করা হোক সিলেট জেলাকে। ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন তিনটি মার্কেটকে আমরা একরকম বন্ধই রেখেছি। যারা আংশিক খুলেছেন, তাদের কড়াভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার। এছাড়া প্রতিদিনই সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্বারা জরিমানা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের। তবে সিটি করপোরশেনের একার পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সবার সমন্বিত উদ্যোগ। আরিফুল হক আরো বলেন, প্রতিদিন যেভাবে জেলায় করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এখনই কড়াকড়িভাবে লকডাউন দেয়া উচিত। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিকেল ৫টার পর যাতে ফার্মেসি ছাড়া অন্য দোকানপাট খোলা না রাখে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর দৃষ্টি দেয়া দরকার। এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন সুলতানা বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানাও করা হচ্ছে। জেলায় লকডাউন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে সিলেটের সিভিল সার্জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা ও যাচাইবাছাই করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বেশি সংক্রমিত এলাকা লকডাউনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App