×

জাতীয়

বাজেট পাস না হতেই বাড়তি টাকা আদায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২০, ০৮:৩৭ পিএম

বাজেট পাস না হতেই বাড়তি টাকা আদায়

মোবাইল ফোন

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগেই মোবাইল ফোনে বাড়তি টাকা আদায় নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলেও এ বিষয়ে কিছুই করার নেই অপারেটরদের। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বাজেট ঘোষণার রাতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা আদেশ অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হয়। আইনজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রভিশনাল কালেকশন অব ট্যাক্সেস এ্যাক্ট ১৯৩১-এর সেকশন ৩ অনুযায়ী এনবিআরকে এ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। অর্থবিলে উল্লেখ করা খাতগুলোতে বাজেট ঘোষণার পর অনতিবিলম্বে তা কার্যকর করা হয়।

গ্রামীনফোনের এক গ্রাহক জানান, গত ১১ জুন রাতেই তার মোবাইলে একটি এসএসএম আসে যাতে বলা হয়, ‘জাতীয় বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা আপানার সকল মোবাইল সেবার ওপর কার্যকর করা হয়েছে। জিপির সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’ একই ধরণের এসএমএস পাওয়ার কথা জানান সব অপারেটরের গ্রাহকরাই। এ জন্য গ্রাহকদের প্যাকেজেও পরিবর্তণ আসার কথা জানিয়েছেন অনেকে।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, বাজেট প্রস্তাবের পর এনবিআর এসআরও জারি করায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই মোবাইল সেবায় বাড়তি সম্পূরক শুল্কের ভিত্তিতে টাকা কাটছে মোবাইল অপারেটরগুলো।

বাংলালিংকের এক কর্মকর্তা জানান, মোবাইল ফোন সেবার ওপর নতুন শুল্কহার বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর করতে অর্থবিলে বলা হয়েছে। তাই আমাদের করার কিছু নেই। আমরা বরং একটু বিপাকে পড়ে গেছি। কারণ হঠাৎ করে নতুন সেবামূল্য নির্ধারণ করা জটিল বিষয়। তরিঘরি করে গ্রাহকের কিছু প্যাকেজে পরিবর্তণ আনা হয়েছে। কিন্তু অপারেটরদের ঠিকই হিসেব করে রাজস্ব পরিশোধ করতে হবে।

ব্যারিস্টার মুনীর হোসেন এ প্রসঙ্গে জানান, ২০২০-২১ সালের অর্থবিলে এ বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা থাকায় বাজেট প্রস্তাবের দিন থেকেই তা কার্যকর করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এনবিআরের। কেননা, প্রভিশনাল কালেকশন অব ট্যাক্সেস এ্যাক্ট ১৯৩১-এর সেকশন ৩ অনুযায়ী এনবিআরকে এই ক্ষমতা দেয়া আছে। অর্থবিলের ঘোষণায় মোবাইল ফোনের সেবা, সিগারেট, গুল ইত্যাদির কথা উল্লেখ রয়েছে। আর বাকি পণ্য সম্পর্কিত দফাগুলো ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট পাসের সময় যদি করহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়, তবে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কর কমানো হয় তবে করদাতার তা ফেরত পাওয়ার কথা। আর বাড়ানো হলে করদাতাকে সে অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।

মূলত, মোবাইল সেবার ওপর গত ৫ বছরে পাঁচবার কর বাড়ানো হয়েছে। নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ ধরা হয়েছে। আরো অন্যান্য করা মিলিয়ে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত অর্থ বছরে সম্পূরক শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ। এবার তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এখন প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকার ২৫ টাকারও বেশি পাবে। এতো দিন যা ২২ টাকার মতো ছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App