কিস্তি আদায় করতে গিয়ে হালের গরু, ঘরের চাল খুলে নেয়ার ঘটনা বহু ঘটেছে। তবে কিস্তি না পেয়ে ঋণগ্রস্ত নারীর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করার ঘটনা আগে শোনা যায়নি। এবার সেই ঘটনাই ঘটেছে শেরপুর জেলা সদরের ভাতশালা গ্রামে। ঘটনাটা গত ১০ জুন রাতে ঘটেছে। দুদিন পর ১২ জুন শেরপুর থানায় নিজে মামলা করেছেন ঘটনার শিকার মেয়েটি। এরপরই ঘটনা জানাজানি হয়।

পুলিশ ও মেয়েটির পরিবার জানায়, এলাকার বেসরকারি ঋণদাতা সংস্থা ‘বন্ধন সমিতি’ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছিলেন ভাতশালা গ্রামের এক গৃহবধূ। নিয়মিতভাবে সেই ঋণের কিস্তি স্থানীয় মাঠকর্মীদের দিয়ে আসছিলেন তিনি। গত ১০ জুন রাতের বেলায় সমিতির মাঠকর্মী মাসুদ মিয়া ওই গৃহবধূর বাড়িতে কিস্তি আনতে যান।

তবে বাড়িতে গিয়ে ওই গৃহবধূকে না পেয়ে মাসুদ মিয়ার পান খাওয়ার অজুহাতে তার ঘরে ঢোকে। এরপর প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টাসহ তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে মেয়েটি ঘটনাটি তার মাকে জানিয়ে দুদিন পর সদর থানায় মামলা দায়ের করে।

ঘটনাটিকে নাক্কারজনক হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়ে শেরপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজিয়া সামাদ ডালিয়া অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।