×

অর্থনীতি

কৃষি খাতে বাড়তি বরাদ্দ ইতিবাচক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২০, ১০:৩৭ এএম

কৃষি খাতে বাড়তি বরাদ্দ ইতিবাচক
করোনা ভাইরাস কৃষি খাতকেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলেছে। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষকদের টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষককে টিকিয়ে রাখতে কৃষি খাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে দুই হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাড়তি বরাদ্ধ যেন প্রকৃত খাতে ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোর মতো কৃষি খাতে ভর্তুকি, সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদ ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষি ঋণ সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া ফসল কর্তন কার্যক্রমে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কেনায় কৃষককে ভর্তুকি দেয়া অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা দুই কোটি আট লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুখ ভোরের কাগজকে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোটা ইতিবাচক। তবে বাড়তি বরাদ্ধ প্রকৃত খাতে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকের প্রণোদনার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যের বাজারদর ও ট্রান্সপোর্টের বিষয়ের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাজেটে কৃষিপণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি পরিমাণ বাড়িয়ে নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আমরা ২০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছি। বাজেটে কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে তিন হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকের ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ধান-চালের সরকারি সংগ্রহ ও বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা আরো দুই লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। কৃষকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি কৃষি রিফাইন্যান্স স্কিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বাজেটে নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ঘোষণা করা হয়ছে। বিগত বছরগুলোর মতো আমদানি খরচ যাই হোক না কেন, আগামী অর্থবছরেও রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে ও কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App