×

বাজেট

বাজেট অধিবেশনে শামসুর রাহমানের কবিতা পাঠ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২০, ০৩:০১ পিএম

বাজেট অধিবেশনে শামসুর রাহমানের কবিতা পাঠ

অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল/ফাইল ছবি

আজ ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপণ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট । ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বাজেটের শিরোনাম রাখা হয়েছে 'অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’। মূলত করোনা মোকাবিলয়া অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে উত্তোরণের জন্য এবারের বাজেটে জোর দেয়া হয়েছে।

বাজেট বক্তব্যের খসড়ায় উল্লেখ আছে, তিনি বাজেট বক্তব্য শেষ করবেন মহান ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী দিয়ে। অর্থমন্ত্রী কোরআনের বৃহত্তম সুরা আল-বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করবেন। এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে ‘অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে এবং রোগীকে সুসংবাদ দাও।’

অর্থমন্ত্রী বলবেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তার সৃষ্টির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করবেন না। তাই তিনি শিগগির আমাদের মহামারি থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, মহামারীর এ প্রলয় দ্রুত থেমে যাক। সালামুন আলাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত রাখতে বাজেট বক্তৃতায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত করে কবি শামসুর রাহমানের লেখা কবিতা ‘ধন্য সেই পুরুষ’ আবৃত্তি করবেন। কবিতাটির ‘ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে/ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে/ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে/ প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মতো উপত্যকায়/... ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।/... ধন্য সেই পুরুষ, যার নামের ওপর পতাকার মতো/ দুলতে থাকে স্বাধীনতা’ এই লাইনগুলো পাঠ করবেন।

অর্থমন্ত্রী আরো বলবেন, কবির এ পঙতিমালার মতোই যার নামের ওপর দুলছে বাঙালির বিজয়ের পতাকা, দুলতে থাকবে অবিরাম; যার নামের প্রতি শব্দই যেখানে স্বাধীনতা, দুর্মর ভেঙে ফেলা শত শৃঙ্খল; নতজানু হতে শেখা এক অবয়ব, নুয়ে পড়ে সব বাধ; সেই অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ মানেই মুজিব, মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী।

বাজেটে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর এনবিআর বর্হিভুত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান থেকে প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক অনুদান মিলে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ৩৮ কোটি টাকা বেশি।

৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রস্তবা করা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। যা ঘাটতি জিপিডি অনুসারে শতকরা ৬ শতাংশ। এর আগের বছর এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে সরকার বিদেশ থেকে ঋণ নেবে ৭৭ হাজার কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে ৮৮ হাজার কোটি এবং সঞ্চয়পত্র ও অনান্য খাত থেকে ঋণ নেবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App