×

অর্থনীতি

পরিবর্তনমুখী যুগোপযোগী বাজেট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২০, ১১:৪০ এএম

পরিবর্তনমুখী যুগোপযোগী বাজেট

আব্দুল মমিন টুলু সভাপতি, ভোলা চেম্বার

আব্দুল মমিন টুলু সভাপতি ভোলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল মমিন টুলু। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা মহামারির সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণ ও বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিফলন পাওয়া যাবে। ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পবান্ধব বাজেট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ যা বর্তমান সরকারের জীবনমান পরিবর্তনমুখী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বাংলাদেশসহ সব দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও চাহিদা বদলে গেছে। প্রায় চার মাস ধরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর লকডাউনে থাকা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও শ্রমিক এবং প্রান্তিক চাষিদের কর্মহীন হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান, শিল্প ও কৃষি খাতে উৎপাদন, সার্ভিস সেক্টর সচল করাসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চারের মতো উপাদান সংযুক্ত করা হয়েছে। যা খুবই সময়োপযোগী। আসন্ন মন্দা ও দুর্ভিক্ষ অবস্থা মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়ানোসহ উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো, করমুক্ত আয়ের সীমানা ৩ লাখ করা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো একটি যুগোপযোগী প্রস্তাব। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মানবসম্পদ খাতে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ, সার্বিক কৃষি খাতে ২২ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৩ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১১ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যার ফলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও সারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও সারের দাম কমানো দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে সারের দাম কমালে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ব্যবসায়ীরা যাতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সহজে প্রণোদনা পায় সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাছাড়া বর্তমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার সময়সীমা জরিমানা ব্যতীত বাড়ানো, সংকটকালে ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ অব্যাহত রাখা, আবাসিক গ্রাহকদের ন্যায় বাণিজ্যিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় বাড়ানোরও অনুরোধ জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App