×

অর্থনীতি

কৃষি প্রণোদনার স্পষ্ট নির্দেশনা দরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২০, ১১:৩৪ এএম

কৃষি প্রণোদনার স্পষ্ট নির্দেশনা দরকার

আমিনুল হক সভাপতি, নাটোর চেম্বার

আমিনুল হক সভাপতি নাটোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
নাটোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। সরকার দেশের জনগণকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে স্বাস্থ্য রক্ষার বিভিন্ন নিয়ম পালনসহ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে জনগণের অসচেতনতা এবং অর্থনৈতিক কারণে প্রতিনিয়ত করোনা শনাক্তকরণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের বিপর্যয় মোকাবিলার লক্ষ্যে, মানুুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ২০২০-২১ বছরের বাজেট পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রস্তাব রয়েছে যা বর্তমান করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোভিড১৯ আক্রান্তের চিকিৎসায় আমদানীকৃত চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে করোনায় কৃষিনির্ভর এ দেশের কৃষকরা বেশ সংকটে পড়েছে। বর্তমান বাজেটে সেই কৃষকদের কৃষিতে প্রণোদনা দেয়ার সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাজেটে কৃষি প্রণোদনার বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা জরুরি। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের ভ‚মিকা অপরিসীম। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে বাংলাদেশের মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে রুটি রুজি আয় থেকে শুরু করে সব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালে ৫০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা, লেখাপড়া, পরীক্ষা, টেলিমেডিসিনসহ নানা খাতে বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। ঠিক সে সময় ইন্টারনেটসেবা বা মোবাইল কলরেটের ওপর বাড়তি করারোপ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিষয়টি আবারো ভেবে দেখা দরকার। তিনি আরা বলেন, বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম তলানিতে নেমেছে তখন বাজেটে তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত নেই। অথচ শুধু তেলের দাম কমালেই দেশের অনেক জিনিসের উৎপাদন ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্য কমবে, প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তিনি বলেন, বাজেটে ব্যাংকের স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক হার বৃদ্ধির যে প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে মানুষ ব্যাংকে তাদের অর্থ আমানত রাখতে বিমুখ হবে। তাদের অর্থ সঠিক পথে না খাটানোর ফলে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কমবে ব্যাংকের তারল্য। ১৬ কোটি জনগণের দেশে টিআইএনধারী লোকের সংখ্যা শুধু ৪৪ লাখ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই করদাতার সংখ্যা এক কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু করোনাকালে এটা বাস্তবায়ন নিয়েও রয়েছে সংশয়। ইতোমধ্যে আয়কর সীমা ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করায় করদাতার বড় একটি সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। করদাতা শনাক্তকরণের কোনো নির্দেশনা না থাকায় কীভাবে লক্ষ্য অর্জন হবে তা পরিষ্কার নয়। দেশে বেসরকারি শিক্ষকদের একটা বড় অংশ কর দিতেন। এবারের বাজেটে আয়কর সীমা ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করায় প্রায় ১৫ লাখ আয়কর প্রদানকারীর কমবে। কমবে রাজস্ব আয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App