×

সারাদেশ

পাহাড়ে বিলুপ্তির পথে বেতগাছ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২০, ০২:৩৪ পিএম

পাহাড়ে বিলুপ্তির পথে বেতগাছ

বেতগাছ/ ছবি: প্রতিনিধি

দখল-দূষণ ও নির্বিচারে নিধনের ফলে দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। এর ফলে বিরল ও বিপন্ন বহু প্রজাতির ঔষধি, ফলদ ও বনজ গাছপালা দিনে দিনে বিলুপ্ত হচ্ছে। এক সময় চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াং পাহাড়ে সবুজের সমারোহ ছিলো। বর্তমানে পাহাড়ের আঙ্গিনায় গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব বিশাল এক শিল্পের ভাণ্ডার। এতে বিলুপ্তি হচ্ছে নানা প্রজাতির গাছপালা। এর মধ্যে অন্যতম বেতগাছ। এখন আগের মতো বেত গাছ দেখা যায় না পাহাড়গুলোতে।

আনোয়ারার পাহাড়ে গড়ে উঠেছে কোরিয়ান ইপিজেড এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন। কেউ পরিদর্শনে এলে বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য দেখলেও খুব একটা দেখতে পায় না বেত গাছ। কাঁটাযুক্ত বেত গাছ লতার মতো হলেও এটি নরম প্রকৃতির নয়। ফলকে বেত ফল বা বেতুন বলে।

আঙগুরের মতো থোকা থোকা ফল চৈত্র ও বৈশাখ মাসে পেকে থাকে। দুষ্ট ছেলেমেয়ের দল অনেক কষ্ট শিকার করে এসব বেত ফল সংগ্রহ করে লবণ-মরিচ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খায়। শুকনো বেত দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পের কদর অনেক বেশি। বেত দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পগুলো হচ্ছে- চেয়ার, টেবিল, মোড়া, ডালা, কুলা, বই রাখার তাক, সোফা, দোলনা ও ফুলদানি। বেত পরিবেশবান্ধবও।

কালের বিবর্তনে মানুষ তার প্রয়োজনে ঝোপ-ঝাড়ের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। সাবাড় হচ্ছে পাহাড় বা বাড়ির আশপাশের ক্ষুদ্র প্রকৃতির বন। তাই গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান বেত। যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলে বেতমুড়া।

স্থানীয় আবদুর রহমান (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ বলেন, এসব পাহাড়ে এক সময় অনেক গাছপালা ছিলো। ছিলো বেত গাছও। বর্তমানে কেইপিজেডে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ হওয়ার পর হারিয়ে গেছে নানা প্রজাতির গাছপালা। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের অনেকেই জানে না বেতফল কি?

পটিয়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে বেতগাছে ভরপুর ছিলো। বর্তমানে পাহাড়ের ঝোঁপঝাপ কেটে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় একবারে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির গাছপালা সঙ্গে বেতগাছও। বেতগাছসহ বিভিন্ন রকমের ঔষুধি গাছ রক্ষায় কাজ করছে বন বিভাগ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App