নিখোঁজের ১ মাস পর পুকুরে যুবকের লাশ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২০, ১২:৩৪ পিএম
রাজধানীর পল্টনে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে বার্গার বিক্রি করতো সুমন।
নিখোঁজের এক মাস পর নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও মুর্গাপাড়ায় একটি পুকুরে কচুরি পানার নিচ থেকে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পল্টন থানা পুলিশ। নিহতের কললিস্ট থেকে সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে একজন মেয়ে দিয়ে ফাঁদ পেতে আটক করা হয় তাকে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
গেল রাত আড়াইটার দিকে পল্টন থানা পুলিশ ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১১ মে নিখোজ হয় সুমন। এরপর স্বজনরা থানার সাধারণ ডায়েরি করার পরপরই পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। এরপর নিখোঁজের কললিস্ট থেকে সন্দেকভাজন একজনকে শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদেই খোঁজ মিলে নিহতের। বিস্তারিত আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্বজনরা জানায়, চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার আ: রবের ছেলে সুমন। স্ত্রী রিতা ও ৭ বছরের একমাত্র মেয়ে জান্নাতসহ পরিবার নিয়া নয়া পল্টন মর্ডান ডায়গনস্টিক সেন্টারের পিছনে ৮৮/৩ নম্বর বাসায় থাকতো। ৪ ভাইয়ের মধ্যে ৩য় ছিলো সে। সুমন পল্টন কালভার্ড রোডে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে বার্গার বিক্রি করতো। এছাড়া সখের বশে বাসায় কবুতর ও হাঁস পালতো সে।
নিহতের বড় ভাই মো: সানাউল্লাহ জানান, ১১ মে বিকেলে কবুতর ও হাঁস কিনতে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে সোনারগাঁও ফরিদাবাদ মুর্গাপাড়া এলাকায় যায় সে। এর আগেও অনেকবার গেছিলো সে। তবে ওই দিন যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেনি সুমন। তাকে ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তবুও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না তাকে। পুলিশে ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সুমনকে মেরে মুর্গাপাড়ায় একটি পুকুরে কচুরি পানার নিচে রাখা রয়েছে। এরপর গতকাল রাত আড়াইটায় পল্টন থানা পুলিশ পুকুর থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে। স্বজনদের অভিযোগ, সুমনের মোটরসাইকেল, মোবাইল ও সঙে থাকা ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করে। পিছন থেকে হাতুরি দিয়ে আঘাত করেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে তাদের ধারনা।
বড় ভাই সানাউল্লাহ আরও বলেন, পাঞ্জাবি পড়া ছবিটিও হত্যার কিছু সময় আগে ওই মুর্গাপাড়াতেই তুলা। ফেসবুকে আপলোডও করেছিলো সে। আর ছবিটা তুলেছিলো গ্রেফতার হওয়া এক হত্যাকারী এটি সে নিজেই স্বীকার করেছে।