ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামকে পার্সেন্টেজের (অবৈধ আর্থিক সুবিধা) প্রস্তাব দেয়া ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। গত ৩০ মে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে বদলির সুপারিশ করার ১০ দিনের মাথায় তাকে বদলি করা হলো। একই সঙ্গে আরো দুই কর্মকর্তাকেও বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুন) ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ওই তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

বদলির আদেশ পাওয়া বাকি দুই কর্মকর্তা হলেন- ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি) মোহা. আবদুল মালেক ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট) মঈনুল হক।

এর মধ্যে আবদুল মালেককে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন এন্ড ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি) ও মঈনুল হক বিপিএম (বার), পিপিএমকে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এর আগে ডিএমপি কমিশনারকে পার্সেন্টেজ তথা গ্রহণের প্রস্তাব দেয়ার পর গত ৩০ মে তাকে বদলির জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি বরাবর একটি চিঠি দেন কমিশনার। আইজিপির উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা। ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের কাছে পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে ওই কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

আইজিপির পাশাপাশি চিঠিতে পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজিরও (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিসিপ্লিন) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

ইমাম হোসেন ২০১২ সালে ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-অর্থ) ও ডিসি-লজিস্টিকস পদে দায়িত্ব পালন করেন।