×

সারাদেশ

করোনায় ক্ষতির মুখে আনোয়ারা পশুর হাট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২০, ০৯:২৮ পিএম

করোনায় ক্ষতির মুখে আনোয়ারা পশুর হাট

পশুর হাট।

বিগত বছর গুলোতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রমজান ঈদের পর-পরই পশু বেচাকেনা শুরু হয়ে যেত। এ সময়ে পশু মোটাতাজা করার জন্য গৃহস্থরা পশু কিনে নিয়ে যেতেন এই হাট থেকে। কিন্তু এ বছর সেই পরিস্থিতি নাই। কোরবানির আগে অবস্থা স্বাভাবিক হবে কি-না তাও বুঝতে পারছেন না কেউ। লোকসান গুণতে হবে গরু ব্যবসায়ীদের। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই বসেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট আনোয়ারা সরকার হাট। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনা।

নতুন ইজারাদার হাটের ডাক পেলেও করোনার কারণে ইজারা আদায় কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। এতে পৌনে ৭ কোটি টাকা বার্ষিক ইজারার এই হাটে ইতোমধ্যে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়েছেন ইজারাদাররা। বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ সরকারহাটে প্রতি শুক্র ও সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিনব্যাপী দেশি-বিদেশি গরু, মহিষ, ছাগল, হাঁস-মুরগী, কবুতর কেনাবেচা হয়।

এছাড়াও এই হাটে তরি-তরকারিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের সব কিছুই পাওয়া যায় এ হাটে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, বোয়ালখালী ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই হাটে পশু বেচাকেনা করতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ থাকার পর গত পহেলা জুন থেকে আবারো সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনা।

বাঁশখালীতে গরু কিনতে আসা আবদুস সালাম বলেন, করোনাকে সঙ্গী করে চলতে হবে। কোরবানির জন্য আগে থেকে একটি গরু কিনতে আসলাম। যাতে লালন পালন করে কোরবানি করতে পারি। বাজারে আগের মত ভীড় না থাকায় গরু কিনতেও কোনো ধরণের অসুবিধা হচ্ছে না।

ইজারাদার মোহাম্মদ হেলাল বলেন, নিয়মানুযায়ী পহেলা বৈশাখ থেকে হাটের ইজারা উঠানোর কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বাজার বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পহেলা জুন থেকে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্কসহ অন্যান্য প্রতিরোধসামগ্রী ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে আমরা শুরু থেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পৌনে ৭ কোটি টাকা বার্ষিক ইজারার এই হাটে ইতোমধ্যে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশা করি, এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা পাব।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে আনোয়ারার পশুর হাট গুলোতে কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এছাড়াও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদারদের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App