অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ে দরকষাকষি করতে শ্রমিককে জিম্মি করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ)। রবিবার (৭ জুন) এক বার্তায় গার্মেন্টস জি-স্কপ এর যুগ্ম সমন্বয়কারী শ্রমিক নেতা আব্দুল ওয়াহেদ এবং কামরুল আহসানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ৪ জুন পিসিআর ল্যাব উদ্বোধনের সময় বি.জি.এম.ই.এ সভাপতি ড. রুবানা হক ঘোষণা দেন জুন মাস থেকে শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে, যা প্রায় সকল সুপরিচিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। করোনা দুর্যোগে সরকার ঘোষিত সকল প্রণোদনা ও অন্যান্য সহযোগিতা নেয়ার পরও এহেন শ্রমিক ছাঁটাই এর ঘোষণার তীব্র নিন্দা করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

বাজেটের পূর্বে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে সরকারের সাথে দরকষাকষি করতে শ্রমিকদের জিম্মি হিসাবে ব্যবহার করতেই কি শ্রমিক ছাঁটায়ের কথা বলা হয়েছে? এই প্রশ্ন রেখে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গত মার্চ মাস থেকেই বিভিন্ন কারখানার মালিক বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা, লে-অফ ঘোষণা করা, উস্কানি দিয়ে শ্রমিকদের উত্তেজিত করে তারপর সেই উত্তেজনার অজুহাতে শ্রম আইনের ২৩ ধারার অপপ্রয়োগ করা, পুরাতন শ্রমিকদের নতুনভাবে কাজে যোগদান করানো ইত্যাদি কৌশলে শ্রমিক ছাঁটাই এবং তাদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিজিএমইএ এর সভাপতির বক্তব্য ঐ ধরণের সুযোগ সন্ধানী মালিকদের উৎসাহিত করবে। ফলে শ্রমিক অঙ্গনে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে তার দায় মালিক পক্ষকেই নিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যে সকল কারখানায় এখনও মার্চ-এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি সেই সকল মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে শ্রমিকদের মে মাস পর্যন্ত সকল বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে হবে।

এছাড়া করোনা সংক্রমিত পোষাক শ্রমিকের বিনামূল্যে চিকিৎসা, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনের ব্যবস্থা এবং শ্রমিকের মৃতে্যুতে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরণ দেবার নিশ্চিত করার দাবি জানায় জি-স্কপ। পাশাপাশি জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং, বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর আবাসন নিশ্চিত করতে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান তারা।