×

খেলা

যে কারণে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন তামিম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০, ১২:৪০ পিএম

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এমন অবস্থায় টাইগারদের ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের ভার তুলে দেয়া হয়েছে তামিম ইকবালের কাঁধে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে বোলার মাশরাফির পারফরম্যান্স এখন খুব একটা আশা জাগানিয়া নয়। তাই নতুন অধিনায়ক তামিমের জন্য এখন কঠিন বিষয়ই হয়ে দাঁড়িয়েছে মাশরাফির ব্যাপারে যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার। এমতাবস্থায় তামিমের নিজের ভাবনা কী? বোলার মাশরাফির ব্যাপারে তামিম নিজে কী ভাবছেন? 

শনিবার রাতে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এমন প্রশ্নের জবাবে বেশ গোছালো উত্তরই দিয়েছেন তামিম। এছাড়াও

ক্রিকফ্রেঞ্জির মাধ্যমে নিজের জীবনের হতাশার গল্প শুনিয়েছেন তামিম।

হতাশায় রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন দেশসেরা এ ওপেনার।

টাইগার দলের দুর্দান্ত পেসার মাশরাফিকে নিয়ে বেশ গর্ব করেন তামিম। তবে নিজের দলে বোলার মাশরাফিকে কীভাবে দেখতে চান অধিনায়ক তামিম?

ক্রিকফ্রেঞ্জির এমন প্রশ্নের চমৎকার উত্তরই দিয়েছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আমি একজন নতুন অধিনায়ক। আমার জন্য প্রথম নির্বাচনী সভায় অথবা প্রথম দল নির্বাচনে আমি যদি বলি আমার এই লাগবে সেই লাগবে, আমি ওকে চাই, তাকে চাই, এটা কেমন হবে? আমার এই শ্রদ্ধা অর্জন করে নিতে হবে; নির্বাচক, বোর্ড সবার কাছ থেকে। এই শ্রদ্ধাটা পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অর্জন করতে পারি।

মাশরাফি ভাই একজন কিংবদন্তি। বাংলাদেশে এমন কেউ নাই যে তাকে নেবে না। তবে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে। সঠিক সময় আসলে দেখা যাবে। এটা বলতে পারি, এমন কেউ নাই যে তাকে

নেবে না।’

এছাড়াও ক্যারিয়ারে হতাশায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন এমন একটি গল্প শুনিয়েছেন ক্রিকফ্রেঞ্জির ফেসবুক লাইভে। তামিম বলেছেন, ‘তখন প্রিমিয়ার লিগে দল পেতে হলে সাইনিং করতে হতো। সাইনিং করতে না পারলে ঐ ক্রিকেটার আর সে বছর খেলতে পারত না। তো প্রিমিয়ার লিগের আগে মাত্র একদিন সময় পেয়েছিলাম আমরা। কেননা আমাদের স্কটল্যান্ড থেকে আসা একটি দলের সঙ্গে ম্যাচ ছিল চট্টগ্রামে। আমার ভাই (নাফিস ইকবাল) একটি দলে সাইনিং করে চলে গেছে। আমাকে বলল তুইও যোগাযোগ কর। আমরা ৫-৬ জন একটা মাইক্রোতে উঠলাম, সাইনিং করতে যাওয়ার জন্য। ইস্টার্ন প্লাজার সামনে ওরা আমাকে মাইক্রো থেকে নামিয়ে দেয়। আমি জিগ্যেস করলাম, কেন নামিয়ে দিচ্ছেন? ওরা বলল বিসিবির কোনও এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমি ভাইকে ফোন দেই তখন। নাফিস ভাইয়া বলে, ওরা তোকে দলে নেবে না হয়তো। আমি তখন রাস্তায় ঐ জায়গায় দাঁড়িয়ে কান্না করি। পুরোপুরি কান্না চলে আসে আমার। পরে তখনকার তারকা ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজনের মাধ্যমে ওল্ড ডিওএইচএসে খেলার সুযোগ পাই আমি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App