×

সারাদেশ

গড়ে শনাক্ত ২০০, হাসপাতালে ঠাঁই ১০

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০, ০১:১৩ এএম

গড়ে শনাক্ত ২০০, হাসপাতালে ঠাঁই ১০

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে মাত্র ৮ থেকে ১০ জনের। বাকি রোগীরা বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আইসোলেন সেন্টার গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হলেও তা কবে নাগাদ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। হু হু করে বাড়ছে করোনার রোগী। সব মিলিয়ে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার রোগীর বিপরীতে হাসপাতালে শয্যা রয়েছে মাত্র ৩৯০টি। এ কারণে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীকে হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলোতে শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খবর চট্টগ্রাম প্রতিদিনের।

গত ২৬ মে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা চালুর নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত এক সপ্তাহেও হাসপাতাল দুটি চালু হয়নি। ইতোমধ্যে হাসপাতাল দুটিতে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। যা সময়ক্ষেপণের কৌশল বলে বিভিন্ন মহলের সন্দেহ হচ্ছে।

এমন সংকট মোকাবিলায় নতুন করে রেলওয়ে হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল ও হলি ক্রিসেন্টে ১৭০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী। তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলায় জোর দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে আগ্রাবাদে একটা কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ বেডের আইসোলেশন হচ্ছে। হালিশহরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০০ বেডসহ আরও বেশ কিছু আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসপাতালটির অবকাঠামোগত কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সেখানে ৩৬ জনের মতো চিকিৎসক ও সমপরিমাণ নার্স প্রয়োজন।

তবে অধ্যাপক ডা. কামরুল বলছেন, কোভিড হাসপাতাল চালু করলে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে তিন বছরের জন্য করতে হবে। এত দীর্ঘ সময় নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে হাসপাতাল চালানো যাবে না। এসব বিষয় সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। আগে এমওইউ (চুক্তিপত্র) সাইন হতে হবে। তারপর চালু করা যাবে।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী জানান, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই প্রচুর রোগী বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতালের শয্যাও যা বেড়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দিনে গড়ে ২০০ রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে ৮ থেকে ১০ জন। বাকিদের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App