আনন্দ-আয়োজনহীন কাটবে কুমার বিশ্বজিতের জন্মদিন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০, ০৪:২৭ পিএম
চিরসবুজ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। মায়ের অনুপ্রেরণায় নিজেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন বলে দাবি তার। কিন্তু সেই মা’কে ছাড়াই এবার জন্মদিনের সময়টা পার করতে হবে কুমার বিশ্বজিৎকে। কারণ তার মা গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পরপারে চলে গেছেন। আজ ১ জুন কুমার বিশ্বজিতের জন্মদিন। করোনার এই ক্রান্তিকালে নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাস নেই, আনন্দ নেই। অবশ্য কুমার বিশ্বজিৎ জানান কখনই তার জন্মদিন নিয়ে বর্ণাঢ্য তেমন কোনো আয়োজন হতো না। আর এবার তো কোনোরকম আয়োজনের প্রশ্নই আসে না। জন্মদিন এবং করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাবিশে^ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে জীবন-জীবিকার প্রশ্নে এত বেশি দুশ্চিন্তা-অনিশ্চয়তা সেখানে আমার জন্মদিনটি আসলে বড় বেশিই গৌণ হয়ে যায়। সারাবিশে^র মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও দুর্বিষহ সময় পার করছেন। আনন্দ উদযাপনের বিষয় এড়িয়ে মানুষ এখন জীবন-জীবিকা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। করোনার সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে অসামাজিক হয়ে যাওয়া। অথচ জন্মদিন একটি সামাজিক বিষয়। সেই সামাজিকতার ন্যূনতমটুকুও করা যাবে না। তাই দিনটি নিয়ে ভীষণভাবে ভাবারও অবকাশ নেই। মা’কে ছাড়া আমার জীবনের প্রথম জন্মদিন, এমনিতেও ভালো কাটত না এবং সবমিলিয়েও ভালোও কাটবে না। অনেক শ্রদ্ধা জানাই, আন্তরিক ভালোবাসা জানাই এই ক্রান্তিকালে যারা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন। যেমন ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আরো যারা বিভিন্ন স্তরে কাজ করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা। সবার মতো আমারও চাওয়া, আমাদের সামাজিক জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক, পৃথিবী সুস্থ হোক, শান্ত হোক। বিবর্ণ জীবনে ফিরে আসুক রঙিন পালক। এদিকে লকডাউনের এই দিনগুলোতেও কুমার বিশ্বজিতের সার্বিক পরিকল্পনায় ও সুরে দুটি গান প্রকাশিত হয়েছে। গান দুটির একটি হচ্ছে ‘লকডাউন’ এবং অন্যটি হচ্ছে ‘ঈদ আনন্দ’। কণ্ঠ দিয়েছেন নিশীতা, ইমরান, লিজা ও কিশোর।