মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ চক্রবর্তীর শেষকৃত্যে বাধা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০, ০৮:১৯ পিএম
শ্মশান ঘাটে কমলেশের লাশ। ছবি: ভোরের কাগজ।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার (৩১ মে) সকালে মারা গেছেন ফরিদপুর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ চক্রবর্তী ভানু। সৎকারের উদ্দেশ্যে তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় শহরেরই অম্বিকাপুর শ্মশান ঘাটে! লাশের সাথেই ছিলেন ফরিদপুর সদরের ইউএনও মাসুম রেজা ও পুলিশের একটি দল। সেখানে লাশ দাহ কাজে বাধা দেন ওই এলাকার লোকজন।
তাদের দাবি, এই শ্মশানে করোনায় মৃতদের লাশ দাহ করা যাবে না! ওই দাবির মুখে দৃঢ় অবস্থান নেন ইউএনও মাসুম রেজা। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেন, মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ চক্রবর্তীর লাশ এখানেই দাহ করা হবে। দৃঢ় অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরাও। পিছু হটেন বাধাদানকারীরা। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ চক্রবর্তী ভানুর মরদেহ দাহ করার কাজ শুরু করা হয়। লোকজন বেশি না থাকায় ইউএনও মাসুম রেজা নিজেই চিতায় খড়ি সাজানোর কাজে হাত দেন। পুলিশ সদস্যরাও নেমে পড়েন দাহ কাজে!
পরম মমতায় চিতা সাজানোর পর তার উপর তুলে দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ চক্রবর্তীর লাশ। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন; দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ চক্রবর্তী ভানুর চিতা!
যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ভানুর স্বজন বন্ধুরা শেষকৃত্যে নেই, সেখানে একজন মাসুম রেজা তার সৎকারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দিচ্ছেন তার শবমঞ্চ সাজিয়ে! এমন দৃশ্যের ছবি আমাকে মুগ্ধ করে, আনন্দে কেঁদেও ফেলি! স্যালুট ফরিদপুর সদরের ইউএনও মাসুম রেজা; এই মহৎপ্রাণ মাসুম রেজার কারণেই হয়তো আমরা একদিন সম্প্রীতির বাগান খুঁজে পাবোই!