×

মুক্তচিন্তা

প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ-খোলা প্রসঙ্গ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০, ০৭:১৮ পিএম

মুজিব জন্মশতবর্ষের পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠানমালা বিদ্যালয় পর্যায়ে পালন না করেই কোভিড-১৯-এর বিপর্যয় ঠেকাতে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর আবেগের চেয়ে বিচক্ষণতা বা প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মেলে। মে মাসের শেষদিকে করোনা পরিস্থিতি আরো জটিল আকার নিয়েছে। বিদ্যালয়ের ছুটি বহাল রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মত প্রকাশ করছেন। ভেঙে পড়ার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় আরেকটু গভীরে ভাবতে হবে। আজকের শিশুরা দেশের আগামীর গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। তাই তাদের বাঁচিয়ে রাখাটাই প্রথম কাজ। করোনা সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধে রাষ্ট্রের চেষ্টার ত্রæটি খুব কমই ছিল কিন্তু আমরাই অসচেতনতায় হোক আর চরম অবহেলায় হোক ট্রান্সমিশন রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছি। এর দায় এখন অবুঝ শিশুরা বয়ে চলছে। শুরুতে আমরা একটু সচেতন হলে এমন হতো না। এখন সব স্বাভাবিক হয়ে যেত। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দোহাই দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিলে জাতিকে এর চরম মূল্য দিতে হতে পারে। চিন্তাবিদদের ধারণা থেকে স্কুল খোলা রাখার বিভিন্ন চমকদার কৌশল বেরিয়ে আসতে পারে। যেমন ১৫ দিন খুলে ১৫ দিন বন্ধ, একদিন অর্ধেক পরের দিন বাকি অর্ধেক, আধাদিন ৫০ ভাগ বাকি আধাদিন ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী আসবে, এমন আরো অনেক পন্থা। কিন্তু আমাদের দেশের সামর্থ্য, অবকাঠামোগত অবস্থা, সামাজিক-পারিবারিক অসচেতনতা ও সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টাই বিপরীত ফলাফল আনবে নিশ্চিত। এই বৈশ্বিক বিপর্যয়ে উন্নত দেশগুলোর শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে তাল মিলানো আমাদের পক্ষে কঠিন হবে। কাজেই কিছুদিন না হয় কেবল অনলাইন শিক্ষায়ই ভরসা রাখলাম। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের শিক্ষাক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছি; বেঁচে থাকলে এখনো পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। আমরা মনে করি, বেঁচে থাকলে তবেই শিক্ষা। তাই সংক্রমণ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখাই শ্রেয়। লেখক : শিক্ষক; চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App