×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে দুই নদের পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে বোরো ধান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০, ০৫:২৫ পিএম

কুড়িগ্রামে দুই নদের পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে বোরো ধান
কুড়িগ্রামে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের উঠতি আধা-পাকা বোরো ধান। দ্রুত নদীর পানি নেমে না গেলে তলিয়ে থাকা এসব ধান সম্পুর্ণরূপে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্র‏হ্মপুত্র ও দুধকুমর নদ অববাহিকার প্রায় ২ শতাধিক চরে এবছর কৃষকরা বোরো ধানের চাষ করেন। এসব চর এলাকায় দেরিতে ২৯ জাতের বোরো ধান চাষ করায় তা এখনও ঘরে তুলতে পারেননি বেশির ভাগ কৃষক। এর উপর শুরু হয়েছে আগাম বর্ষা এ পরিস্থিতিতে দেরিতে রোপন করা বোরো ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পোড়ার চর, মাঝিয়ালির চর, বড়ুয়া, ভগবতীপুর, পারবতীপুর, ঝুনকার চর, নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়রনপুর, কালার চর, অষ্টআশির চর, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, জাহাজের আলগা, দুই খাওয়া, আইরমারীসহ রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ২ শতাধিকচরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বোরো ধানের বেশির ভাগই পানির নীচে তলিয়ে আছে। এ অবস্থায় কৃষকরা পানির নীচ থেকে তাদের রোপন করা অাধা-পাকা ধান কেটে অানার চেষ্টা করছেন। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পারবতীপুর চরের খোকা মন্ডল জানালেন, তিনি চরের ৫ বিঘা জমিতে ২৯ জাতের বোরো ধান চাষ করেন। হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো জমির ধান তার তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে ১ বিঘা জমির ধান সামান্য জেগে আছে সেই জমির ধান লোকজন নিয়ে কাটছি। বাকীগুলো এখনও পানির নীচে পড়ে আছে। সদরের ভগবতীপুর চরের আয়নাল হক জানান, ধার-দেনা করে আবাদ করা এ ধান দিয়েই আমাদের সারা বছর চলে যায়। কিন্তু এবার প্রকৃতির এই বৈরী আচরনে তার অর্ধেক ধানও ঘরে তুলতে পারিনি। এবার সব শেষ হয়ে গেল। সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শাহা জামাল জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে সমস্ত ২৯ জাতের বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে আছে। কয়েকদিন ধরে এসব ধান পানির নীচে থাকায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে এসব এলাকার কৃষকের অপুরনীয় ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি। যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইযুব আলী সরকার জানান, চরাঞ্চলগুলোর কৃষকরা যে বোরো আবাদ করেছেন পানি আসার আগে তার অর্ধেকও ঘরে তুলতে পারেননি। এখন দ্রুত পানি নেমে না গেলে তলিয়ে থাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে। কৃষকদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি। বোরো ক্ষেত পানিতে তলিয়ে থাকার বিষয়টি যাত্রাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি ধান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। আর এ হিসাব আমি আপনাকে দিতে বাধ্য না বলে মন্তব্য করেন। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান এর কাছে ধান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারেনি। তবে তিনি জানান যেসব ধান দেরীতে লাগানো হয়েছে চরাঞ্চলের শুধু সেসব ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে । ক্ষতির পরিমান নিরূপনে কাজ চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App