×

সারাদেশ

আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২০, ০৮:২৭ পিএম

আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল
আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল
আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল
আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল
আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল
আমফানে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা উপকূলের বনাঞ্চল
ঘূর্ণিঝড় আমফানের ছোবলে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কুয়াকাটা সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প। ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে ম্যানগ্রোব ফরেস্ট এর হাজার হাজার গাছ। আমফান তাণ্ডবে উপড়ে গেছে ঝাউ গাছসহ বনবিভাগের সৃজনকৃত কয়েক হাজার গাছ। ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে গেছে মাইলের পর মাইল বনাঞ্চলের গাছ। ঢেউয়ের তাণ্ডবে বিলীন হয়ে গেছে কুয়াকাটা সৈকতে অবস্থিত জাতীয় উদ্যানের বেশির ভাগ ঝাউ গাছ। ঝুকিঁর মুখে রয়েছে জাতীয় উদ্যানের ফরেস্ট ক্যাম্প। আমফান তাণ্ডবে বনবিভাগের ক্ষতির পরিমান এতই বেশি যা পুরণ করা সম্ভব নয় বলে পটুয়াখালী বনবিভাগ জানান। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘বেলা’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বন ও সবুজ বেষ্টনীর ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  তিনি জানান, বন ও বনের গাছ পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর ঘুর্ণিঝড়ের কবলে যেভাবে বন ও সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস হওয়ার ফলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপরও। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সমুদ্র সৈকতের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সবুজ বেষ্টনী আর ম্যানগ্রোভ বন। উপকূলের রক্ষা কবজ হিসেবে এ বন উপকূলকে সব সময় রক্ষা করে আসছে। আর সেই রক্ষা কবজ আমফান তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এই বন না থাকলে উপকূলকে বাচাঁনো সম্ভব হতো না। সিডর, আইলা, নারগিস,আমফানসহ বড় বড় ঝড়কে মোকাবেলা করেছে বন। যা উপকুলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদের রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করেছে সব সময়। বনের কারণে প্রবল শক্তির এই ঘূর্ণিঝড় সেভাবে আঘাত হানতে পারেনি উপকুল ভাগে। এই বনাঞ্চল না থাকলে উপকূলে বড় ধরণের তাণ্ডব হতে পারতো বলে পরিবেশবিদরা মনে করেন। এধরনের দুর্যেোগে বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুই ধরণের ধাক্কা যায়। প্রথমে ক্ষিপ্র গতির বাতাস এরপর জলোচ্ছ্বাস। বনাঞ্চলের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত কম গতি নিয়ে লোকালয়ে পৌঁছায়। বনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যেখানে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছিল, সেটা বন পার হয়ে লোকালয়ে যেতে যেতে শক্তি হারিয়ে দমকা বাতাসে রূপ নেয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবছর ঘুর্ণিঝড় ও সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বন এবং উপকূল ভাগ। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডব থেকে এই বন উপকূলকে রক্ষা করেছে। সেই দুর্যোগে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। বনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়েছে অনেক। তবে এবারের ক্ষয়ক্ষতি সিডরের মতো না হলেও নিজ সক্ষমতায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগবে বলে স্থানীয়দের ধারনা। সেক্ষেত্রে বন বিভাগের সু-নজর কামনা করছেন উপকূল বাসী। পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘুর্ণিঝড় আমফানে বনের ক্ষতির পরিমান নিরূপন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে জানা যাবে। তবে উপকুল ভাগে যে পরিমান গাছপালা ক্ষতি হয়েছে তা পুরণ করার নয়। তিনি আরো বলেন, উপড়ে পড়া গাছ যাতে কেউ নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য নজর রাখছে বন কর্মীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App