×

জাতীয়

এনবিআর বলছে ৪৬ হাজার কারখানা মালিকদের দাবি ২০ লাখ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২০, ১০:৫৮ পিএম

এনবিআর বলছে ৪৬ হাজার কারখানা মালিকদের দাবি ২০ লাখ
প্রতি বছর বাজেট ঘোষণার আগে নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করতে বিড়ি মালিক এবং কিছু সুবিধাভোগী বিড়ি শ্রমিক নেতা-শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করেন। তারা দাবি তোলেন বিড়ির কর বাড়ানো হলে দেশের বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং ২০-৩০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে যে কাল্পনিক তথ্য তারা বছরের পর বছর দিয়ে থাকেন, তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতারা। তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকাশিত ‘দি রেভিনিউ এন্ড এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম অব বিড়ি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পে কর্মরত নিয়মিত, অনিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক মিলিয়ে পূর্ণ সময় কাজ করার সমতুল্য শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ৪৬ হাজার ৯১৬ জন। বিড়ি শিল্পের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মজুরিও খুব কম, মাসে গড় আয় মাত্র ১ হাজার ৯৭২ টাকা। একজনের আয়ে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবারের শিশু, নারীসহ সবাইকে বিড়ি তৈরির ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত হতে হয়। সরকারিভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হলে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক এই ক্ষতিকর পেশা ছেড়ে দিতে চায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বিড়ির করকাঠামো পরিবর্তনসহ একাধিক সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো বিড়ির সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো এবং এখান থেকে অর্জিত বাড়তি রাজস্ব দিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা, বিড়ির ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্কর একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ করা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং এনবিআরের যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে যেসব জেলায় বিড়ি কারখানা রয়েছে সেখানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান অনুসন্ধান করা, বিড়ি শ্রমিকদের ক্ষতিকর পেশা থেকে সরিয়ে নিতে এনজিও, বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠন এবং সিভিল সোসাইটি সংগঠনকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করা, নারী, শিশু, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষম বিড়ি শ্রমিকদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App