সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি আইসিসি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২০, ০১:২৫ পিএম
করোনা কারণে বহুল আলোচিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ১০ জুন ফের বৈঠকে বসবে।
লাগাতার ৩ দিন বৈঠক করেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে অনেকগুলো এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেনি আইসিসি। শুধু জানিয়েছে- আগামী ১০ জুন ফের আলোচনা হবে।
আইসিসি'র বর্তমান চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের সভাপতিত্বে এই টেলিকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি'র বৈঠকের অনেক খবর আগেভাগে মিডিয়ায় কিভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ছে- তা নিয়ে একাধিক বোর্ড সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই বিষয়টির আশু সমাধান খোঁজার জন্য জোর দেন তারা। বলেন- বোর্ডের ভেতরের খবর আগাম কে এবং কিভাবে মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করে দিচ্ছে, তার একটা যথাযথ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। শুধু কথাবার্তা বা ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যেই এই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকেনি। তথ্য ফাঁসের ব্যাপারটির সমাধান করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। আইসিসি'র এথিকস কমিটির কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটির কর্মকর্তারা তাদের তদন্ত কাজ সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য এই কাজে দক্ষ আরো বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও সহায়তা নিতে পারবেন। এই তদন্ত কমিটি আগামী ১০ জুনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে। আইসিসি'র সদস্য দেশগুলোর প্রধান নির্বাহীরা সেদিনই তদন্ত রিপোর্টটি পর্যালোচনা করবেন।
ওদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছে। আইসিসি'র কাছে এক চিঠিতে সিএ অনুরোধ করেছে-এই বছরের বিশ্বকাপ পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে আয়োজন করতে চায় তারা। কিন্তু সমস্যা হলো ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক তো ভারত। টি-টোয়েন্টির আরেকটি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালে। নতুন সূচিতে অস্ট্রেলিয়া চাইছে ২০২১ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন হোক অস্ট্রেলিয়ায়। আর ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হোক ভারতে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যে সুসম্পর্ক তাতে এই সূচি বদলের বিষয়ে ভারত সম্ভবত সম্মতি দিতেও পারে। ২০২১ সালের পরিবর্তে ভারত ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করলে আর্থিকভাবে তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। সমস্যা শুধু একটাই লাভটা একটু দেরিতে আসবে! আর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য সময়টা ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়ে গেলে দেশি-বিদেশি অনেক স্পন্সর হারাবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, এই বিশ্বকাপ দুই বছর পিছিয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়া সরকার পর্যটন স্বত্বের অংশীদার হিসেবে সাড়ে চার মিলিয়ন ডলার প্রদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও দাঁড়াতে পারে। তাই ২০২১ সালের মধ্যেই যে এই বিশ্বকাপের আয়োজন করা যায়- সেই চেষ্টাই করবে অস্ট্রেলিয়া।