×

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ হারালেন ১ লাখ মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২০, ০১:৩৫ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ হারালেন ১ লাখ মানুষ

ছবি: ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ হারালেন এক লাখ মানুষ। এর মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ২৩৩ জন। মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত ১১টায় প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে নিউইয়র্ক স্টেটে ২৩ হাজার ২৮২ জন। নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছেন ১৬ হাজার ৪১০ জন। বিশ্বের রাজধানী হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্ক সিটি হচ্ছে করোনাভাইরাসেরও প্রধান টার্গেট।

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসা-বিশেষজ্ঞসহ নিউইয়র্কের স্টেট গভর্নর এ্যান্ড্রু ক্যুমো বহুবার অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ফেব্রুয়ারিতেই যদি ইউরোপ থেকে নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে আসা ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হতো তাহলে এমন মহামারির কবলে পড়তে হতো না নিউইয়র্ক অঞ্চলের মানুষদের।

সোমবারও (২৫ মে) নিউইয়র্কে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। হাসপাতাল এবং স্বজনের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান, নিহতরা হলেন হবিগঞ্জের সন্তান এবং ব্রঙ্কসের বাসিন্দা শামসুল ইসলাম জীবন (৫০) এবং মোহাম্মদ আলম (৪৮)।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা পুনরায় শংকা প্রকাশ করেছেন যে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ একেবারেই থমকে দাঁড়ায়নি, তেমন স্টেটসমূহের লকডাউন শিথিল করায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সুস্পষ্টভাবে অভিমত পোষণ করেছেন যে, লকডাউন শিথিলের মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। তবে এসব আহবানে ন্যুনতম পাত্তা না দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাগরিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হবার জন্যে।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, স্টেটসমূহের লকডাউন শিথিল করার সাংবিধানিক এখতিয়ার হচ্ছে স্টেট গভর্নরদের। একারণে বাস্তবতার আলোকে স্টেট গভর্নররা পদক্ষেপ নিচ্ছেন পর্যায়ক্রমে। নিউইয়র্ক সিটি ছাড়া প্রায় পুরো স্টেটে লকডাউন শিথিলের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। সিটিতেও মৃত্যুর হার এবং হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তির হার কমছে গত দেড় সপ্তাহ থেকে। এটি অব্যাহত থাকলে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে লকডাউন শিথিলের পথ সুগম হবে বলে ২৬ মে প্রেস ব্রিফিংকালে আশা পোষণ করেছেন সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো।

মিশিগানে মামলা-মোকদ্দমা সত্বেও লকডাউনের মেয়াদ জুনের ১২ তারিখ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্টেট গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার। নিউইয়র্কে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ মে বৃহস্পতিবার।

সোমবার (২৫ মে) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হেল্থ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ড. মাইক রায়ান ভার্চুয়াল ব্রিফিংকালে আরো বলেছেন, আমরা যখন দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রমণের শংকা প্রকাশ করছি, সে সময়ে চলমান সংক্রমণেরই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বাসার বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে, ৬ ফুট অন্তর অবস্থান করতে হবে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই মাস্ক পরতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App