×

সারাদেশ

ভর্তিতে ‘না’, হাসপাতালের গেটেই সন্তান প্রসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২০, ১১:৫০ পিএম

ভর্তিতে ‘না’, হাসপাতালের গেটেই সন্তান প্রসব

হাসপাতালের গেটে জন্ম নেয়া শিশু। ছবি: ভোরের কাগজ।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাশেদা বেগম (৫০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান প্রসবের জন্য আসলে তাকে ভর্তি নেয়নি চিকিৎসকরা। পরে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী অন্যত্র ফিরে যাবার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটেই একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন।

সোমবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রসূতি মা উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী।

স্বজনরা জানান, বাড়িতে থাকা অবস্থায় রাশেদা বেগমের প্রসব বেদনা উঠে। এসময় দেরি না করে তাকে দ্রুত সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা রাশেদাকে ভর্তি না করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসক ও সেবিকাদের রোগীটিকে দেখার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ প্রসূতিকে দেখেননি। পরে রোগীর স্বজনরা নিরুপায় হয়ে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে আসতেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে রাশেদা বেগম সন্তান প্রসব করেন। এতে স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করেন রাশেদাকে। পরে হাসপাতালে একজন নার্স বাচ্চা সহ রোগীকে গেট থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রিপন কুমার বর্মণ ভোরের কাগজ কে জানান, বেশি বয়সী গর্ভবতীদের প্রসবকালীন সময়ে রক্তক্ষরণ হয়। এ জন্য রাশেদাকে ভর্তি করা হয়নি। তাকে অন্যত্র ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনগণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নবী নেওয়াজ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শাহারিয়া খান বিপ্লব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব শাহিনুল ইসলাম মন্ডল।

স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব শাহীনুল ইসলাম মন্ডল সাদুল্লাপুর হাসপাতালে থাকেন না তিনি গাইবান্ধা থেকে অফিস করেন এবং সপ্তাহে তিন-চার দিন অফিস করেন বেলা বারটা/একটায় অফিসে আসেন এবং দুইটা আড়াইটার মধ্যে অফিস থেকে চলে যান। যার জন্য সাদুল্লাপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কর্মকর্তা।

এদিকে ভূমিষ্ঠ শিশুটি সুস্থ থাকলেও প্রসূতি মা অসুস্থ তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হাওয়ায় তাকে সাদুল্লাপুর থেকে রংপুরে পাঠিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App