×

জাতীয়

করোনা প্রতিরোধে সরকারের কোনো সমন্বয় নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২০, ০৩:৩০ পিএম

করোনা প্রতিরোধে সরকারের কোনো সমন্বয় নেই
করোনা প্রতিরোধে সরকারের কোনো সমন্বয় নেই

করোনা মহামারি প্রতিরোধে সরকারের কর্মকাণ্ডে কোনো সমন্বয় নেই, তারা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৫ মে) সকালে ঈদের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো না, সমন্বয় ছিলো না। এখনো নেই।

করোনাভাইরাসকে ন্যুনতম প্রতিরোধের একটা কাছাকাছি আনার চেষ্টা করা থেকেও তারা(সরকার) ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ পুরোটা পারা সম্ভব নয়, নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছ, যে প্রচেষ্টা, সকলকে আপনার সাথে নিয়ে বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা তাদেরকে সাথে নিয়ে এইটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

সরকারের ব্যর্থতার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। আমরা দেখেছি, কয়েকবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশেই মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আপনারা দেখলেন এবার ঈদের আগে এবং তারও আগে গার্মেন্টসসহ ছুটি- সব মিলিয়ে এখন সারাদেশের মানুষই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রায়। প্রতিদিন সংখ্যা বাড়ছে এবং বৃদ্ধির কারণটা হচ্ছে যে, পরীক্ষা হচ্ছে বেশি সংক্রামিত সংখ্যাও সেজন্য বাড়ছে।

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিতসা হচ্ছে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন- এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের হাসপাতাল হিসেবে। সেখানে তারা যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। আমরা মনে করি , এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাত বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙেই পড়েছে। যার কারণে কারো আস্থা সেখানে থাকছে না।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে লকডাউন করা হয় নাই কিন্তু ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে সাধারণ ছুটি ভোগ করছে আমরা যা দেখতে পারছি চতুর্দিকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সরকার এই বিষয়টাতে যে ধরণের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিলো তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

কোথাও কোনো দায়িত্বের লেশ আমরা দেখতে পারছি না, সমন্বয় দেখতে পারছি না। একটা যে সেন্স অব রেসপনসেভিলিটি সেটা দেখতে পারছি না। আপনি পুরোটাই পারবেন-সেটা সম্ভব না এখন। কিন্তু আপনি করার চেষ্টা করছেন আন্তরিকভাবে সেটা ভিজিবল হতে হবে-সেটাই আমরা দেখছি না।

ফখরুল বলেন, আমরা এসেছিলাম আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের মাজার জিয়ারত করতে। প্রতিবছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই এখানে আমরা আসি জিয়ারত করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, তিনি অসুস্থ। তার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে আসার।”

যদিও মাত্র ৬ মাসের জন্য তাকে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে, এটা এটা তার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করা হয়েছে, ন্যায় বিচার করা হয়নি। তাকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেয়া উচিত ছিলো এবং তার বিচারেও তার যে জামিন পাওয়া উচিত ছিলো, সেই জামিনও বর্তমান ব্যবস্থায় তিনি পাননি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে ফখরুল বলেল, ইনশাল্লাহ উনি যেমন ছিলেন ওর থেকে খারাপ হননি, স্থিতিশীল আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।

মহাসচিব ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App