×

আন্তর্জাতিক

অন্তর্বাস পরে করোনা রোগীর সেবা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২০, ০১:০৮ এএম

অন্তর্বাস পরে করোনা রোগীর সেবা!

ট্রান্সপ্যারেন্ট পিপিই পরা সেই নার্স

নার্সকে ওয়ার্ডে দেখেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের চোখ ছানাবড়া। কেউ কেউ চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছিল না। কেউ কেউ হতভম্ব হয়ে পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছিলেন। ঘটনা কী? একজন নার্স যিনি আবার পেশাদারিত্বে যথেষ্ট সুনামধারী অন্তর্বাস পরেই হাজির ওয়ার্ডে। রোগীরা প্রচণ্ড লজ্জা পাচ্ছিলেন।

তবে বলে রাখা ভালো যে, ওই নার্স কিন্তু পিপিই কিট পরেছিলেন। তবে পিপিই এতই ট্রান্সপ্যারেন্ট যে এর ভেতরে অন্তর্বাসসহ সবকিছুই চোখে পড়ছিল। নার্সের এমন সাহসী পদক্ষেপে রোগীদের কোনোই অভিযোগ ছিল না। তবে বেঁকে বসলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন বিব্রতকর সাহসের ঘটনার জন্য নার্সকে বরখাস্ত করার হুমকি দিল কর্তৃপক্ষ।

তবে সর্বোপরি কিছুই হলো না। কেননা, পেশাদারিত্বের দিকে থেকে ওই নার্সের ব্যাপক সুনাম ছিল হাসপাতালে। আর এমন নার্সকে করোনার এই দুঃসময়ে ছাঁটাই করলে মহামুশকিলে পড়তে হতে পারে হাসপাতালকে। তাই শেষ অবধি ৩২ বছর বয়সী ওই নার্স আবার কাজে ফিরেছেন।

ঘটনাটা রাশিয়ার টুলা শহরের। রাজধানী মস্কো থেকে একশ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এক হাসপাতালে পুরুষদের ওয়ার্ডে সেবা দেন ওই নার্স। নার্সের যুক্তি, পিপিই কিট পরে কাজ করা কষ্টকর। সারাক্ষণ পিপিই পরে থাকলে খুব গরম লাগে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে পিপিই কিট আসলে ট্রান্সপ্যারেন্ট। বুঝিনি, আমার আন্তর্বাস দেখা যাবে।

তবে নার্সের এমন যুক্তিকে খোঁড়া হিসেবে দেখছেন অনেকে। যদিও কোনো রোগীই ওই নার্সের পোশাক নিয়ে অভিযোগ করেননি। অনেকে আবার বলেছেন, তরুণী ওই নার্স করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হাসির পরিবেশ কিছুটা হলেও ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার শাস্তি হওয়া তো উচিতই নয়, বরং তাকে পুরস্কার দেয়াই উচিত।

চীনে করোনা মহামারির বিপর্যয় শুরুর পর ৩০ জানুয়ারি চীনের সঙ্গে ২৬০০ মাইলের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় পুতিনের সরকার। তারপরও করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি রাশিয়ায়। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে রাশিয়ার চিকিত্সা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বহু চিকিত্সক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App