×

লাইফ স্টাইল

লকডাউনে চাপ নয়, সন্তানকে বন্ধু বানান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২০, ০২:০৪ পিএম

লকডাউনে চাপ নয়, সন্তানকে বন্ধু বানান

লকডাউনে সন্তানকে চাপ প্রয়োগ করবেন না/ ফাইল ছবি

লকডাউনে চাপ নয়, সন্তানকে বন্ধু বানান

লকডাউনে সন্তানকে চাপ প্রয়োগ করবেন না/ ফাইল ছবি

লকডাউনের কারণে ঘরে সবাই। এই সময়টাতে পরিবারের সবাই একসাথে যে সময়টুকু কাটানো হচ্ছে, তা হয়তো অন্য কখনো হয়ে উঠেনি। বিশেষ করে যেসব পরিবারে বাবা ও মা দুজনেই চাকুরে। কাজের প্রয়োজনে দুজনেই থাকেন বাইরে। কিংবা সন্তান স্কুলে থাকার কারণেও কাছে পাওয়া হয় না। তাই এই সময়টাতে সবাই একসাতে সময় কাটাচ্ছেন ২৪ ঘণ্টা। আগে সন্তান কী করছে, কীভাবে সময় কাটাচ্ছে তা সব সময় চোখদর্পনে থাকত না। তাই সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করাও হয়তো সব সময় সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন অনেকেই সন্তানকে কাছে পেয়ে চাচ্ছেন নিয়ন্ত্রণ করতে। কিন্তু সন্তানও কিছুটা বিরক্ত হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই সন্তানের সাথে এ সময়টাতে এমন আচরণ করুন, যাতে হিতে বিপরীত না ঘটে।

আপনি হয়তো ভাবেন, আপনি টেনশনে আছেন আর সন্তান আছে দিব্যি। তা কিন্তু নয়। সেও নানা উদ্বেগে আছে। কবে স্কুল খুলবে, কবে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হবে, কবে বন্দি দশা ঘুচবে ইত্যাদি নিয়ে তারও মনে খুব অশান্তি। কাজেই সারাক্ষণ শাসন করে তার ঘরে থাকাটা অসহনীয় করে তুলবেন না। বাড়িতে সে যেন নিয়মও মানে আবার আনন্দেও থাকে সেই ভারসাম্য দু’জনকেই বজায় রেখে চলতে হবে।

সন্তানকে একটু বুঝলে এই সব সমস্যার সমাধান একেবারেই অসম্ভব নয়। প্রয়োজনে নিজের ব্যবহারে পরিবর্তন আনুন। যেমন—

[caption id="attachment_222264" align="alignnone" width="740"]সন্তানের সাথে গড়ে তুলুন বন্ধুত্ব লকডাউনে সন্তানকে চাপ প্রয়োগ করবেন না/ ফাইল ছবি[/caption]

• যা করবেন, তার বেশ কিছুটা সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে করুন। তার মতামত অগ্রাহ্য করে নিজের মত চাপালে হবে না সব সময়।

• দু’জনে কথা বলে মোটামুটি একটা রুটিন ঠিক করে নিন। কত ক্ষণ সে পড়বে, কতক্ষণ টিভি দেখবে, কতক্ষণ গেম খেলবে আর কতক্ষণই বা আপনার কাজে সাহায্য করবে। একই ভাবে ঘুমোতে যাওয়া, সকালে ওঠা, হালকা ব্যায়াম ও কোনো শখের চর্চা কখন কতক্ষণ ধরে করবে সে, তার একটা রূপরেখা ঠিক করে নিন। খেয়াল রাখুন সে রুটিন কতটা মানছে। অনিয়ম করলে দিনের শেষে মনে করান। এতে অশান্তি কমবে, সে নিজের দায়িত্বও নিতে শিখবে। শিখবে নিয়মানুবর্তিতা। সব সময় বকাবকি করলে যা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।

সন্তান নিয়ম মানলে তাকে আনন্দ দেয় এমন কিছু উপহার দিন বা রেঁধে খাওয়ান।

• রুটিনের ব্যাপারটা যদি নতুন হয় তা হলে প্রথমে উৎসাহ ভরে রাজি হলেও পরে ঢিলেমি করবে সন্তান। ধৈর্য ধরুন। বকাঝকা না করে নিয়মিত মনে করিয়ে দিন। একটা সময় হাতে চলে আসবে। • যেদিন পুরো নিয়ম মানবে বা অনিয়ম কম করবে, সে দিন ওর পছন্দের কোনো খাবার বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। বা পছন্দের কোনো গেম বা শো আধ ঘণ্টা বেশি খেলার বা দেখার সুযোগ দিতে পারেন। এটা যে তার নিয়ম মানার পুরষ্কার তা ভাল করে বুঝিয়ে দেবেন। অর্থাৎ সে যেন বোঝে নিয়ম মানলে পুরষ্কার ও না মানলে তিরষ্কার পাওয়াটাই নিয়ম।

• তার কোনো বিশেষ দাবিদাওয়া থাকলে আগেই তা নস্যাৎ করে না দিয়ে মন দিয়ে শুনুন সে কী বলতে চায়। ভেবে দেখুন, তাতে তার কোনো ক্ষতি হবে কী না। না হলে ১০টার মধ্যে ৫-৭টা মেনে নিন। তা হলে যেগুলি মানলেন না তা নিয়ে তার অভিযোগ থাকবে না।

• অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। তারই কোনও বন্ধু বা পড়শি ককো ভাল করে পড়ছে বা ঘরের কাজে সাহায্য করছে আর সে কিছু করছে না, এ সব বলে লাভ তো কিছু হবেই না, বরং অশান্তি বাড়বে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App