×

সারাদেশ

হালদায় ডিম সংগ্রহের উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মে ২০২০, ০৩:২৫ পিএম

হালদায় ডিম সংগ্রহের উৎসব

হালদায় রেণু সংগ্রহ করছেন জেলেরা। ফাইল ছবি।

হালদায় ডিম সংগ্রহের উৎসব

ফাইল ছবি

হালদায় ডিম সংগ্রহের উৎসব

ছবি: প্রতিনিধি

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। প্রতিবছরের ন্যয় এবারও হালদা নদীতে উৎসবের আমেজে ডিম সংগ্রহ করছেন স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা। শুক্রবার (২২ মে) সকাল ৭টা থেকে মা মাছ হালদা নদীতে পরিপূর্ণভাবে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।

চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় ৯৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আছে হালদা নদী। দুই উপজেলায় হালদা নদীর সত্তার ঘাট, অংকুরী ঘোনা, মদুনাঘাট, গড়দুয়ারা, কান্তার আলী চৌধুরী ঘাট, নাপিতের ঘোনা ও মার্দাশা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছ ডিম ছেড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ডিম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে হালদা পাড়ে বসেছে হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলা। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আছেন তাদের সঙ্গে। আধুনিক পদ্ধতিতে এসব ডিম থেকে রেণু তৈরি, এরপর পোনা উৎপাদন করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে যে হারে ডিম পাওয়া যায় সে হারে রেণু হয় না। অনেক ডিমই তাপমাত্রা, আবহাওয়া, লবণাক্ততাসহ বৈরী পরিবেশে নষ্ট হয়ে যায়।

[caption id="attachment_221927" align="aligncenter" width="700"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, সব নৌকা এবং আহরণকারীরা এখন নদীতে আছেন। দুপুরের পর থেকে ডিম সংগ্রহ করে তারা তীরে আসতে শুর করেছেন। তখন কি পরিমাণ নৌকায় কত ডিম সংগ্রহ হয়েছে সেটা জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, প্রায় ৩০০ নৌকায় দেড় হাজার মৎস্যজীবী ডিম সংগ্রহ করছেন।

প্রতিবছরের চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে পূর্ণিমা-অমাবস্যার তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে হালদা নদীতে। আর তখনই তাপমাত্রা অনুকূলে থাকলে ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মাছ। মধ্য এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। এবার অমাবস্যা তিথি থাকলেও বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢল ছাড়াই মা মাছ ডিম ছেড়ে দিয়েছে।

[caption id="attachment_221929" align="aligncenter" width="700"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

তিনি আরো বলেন, সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেণু ফোটানো হবে। পরিচর্যার মধ্য দিয়ে সেই ডিম থেকে পোনা হবে। ডিম ফোটানোর জন্য তিনটি হ্যাচারি ও ৬০টি কুয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায়ে আরও কুয়া প্রস্তুত আছে।

হালদা গবেষক অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, সাধারণত পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথিতে ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢল নামলেই মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে ব্যতিক্রমও হয়। সাধারণত নদীর পরিবেশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত হলেই মা মাছ ডিম ছেড়ে দেয়। আর পরিবেশ উপযুক্ত কি না, সেটা দেখতে প্রথমে অল্প পরিমাণে ছাড়ে। সেটাকে স্থানীয়রা নমুনা ডিম বলে থাকেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App