×

জাতীয়

আমফানেরও তাণ্ডব ঠেকালো সুন্দরবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ১২:৫৫ পিএম

আমফানেরও তাণ্ডব ঠেকালো সুন্দরবন

আমফান।

উপকূলজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আমফানের প্রভাবে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির উচ্চতা বেড়েছে, তলিয়ে গেছে কয়েকশত গ্রাম। গাছপালা পড়ে ও বাতাসের চাপে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাড়ি-ঘর। তবে সুন্দরবন দিয়ে আমফান অতিক্রম করার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম হয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে প্রথম আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আমফান। বুধবার বিকেল থেকেই আমফানের তাণ্ডব শুরু হয় বাংলাদেশে। ঝড়টি নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে এর অগ্রভাগ সাতক্ষীরা উপকূলে প্রবেশ করে রাত নয়টায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র উপকূলে আঘাত হানে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সবচেয়ে বড় প্রভাব রেখে গেছে জলোচ্ছ্বাস দিয়ে।

রাতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ উপজেলার অন্তত ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, পানির উচ্চতা ৯ থেকে ১০ ফুট। উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার পৌঁছাতে গিয়ে সন্ধ্যায় মাধবখালী গ্রামে গাছচাপা পড়ে হাবিবুর রহমান নামের এক গ্রাম পুলিশ আহত হয়েছেন।

রাত আটটার দিকে কয়রার দক্ষিণ দেবকাশী ইউনিয়নে তিনটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ঘড়িলাল, আংটিহারা, গোলখালিতে জোয়ারের পানি ঢুকছে। আশপাশের মানুষ আতঙ্কে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে বরগুনা সদর, তালতলী, পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাজুক বাঁধ ভেঙে ও বাঁধের উচ্চতা ভেদ করে উপচে ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে।

বলেশ্বর নদের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকার বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হয়েছে ইউনিয়নের ৮ গ্রাম। পানি ঢুকে পড়েছে উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারে। পানগুছি নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা।

১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ উপকূলে ৩৩টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে। এর বেশির ভাগই চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট ও বরিশাল এলাকা দিয়ে আঘাত করেছে। ২০০৭ সাল থেকে হিসাব করলে দেশে মোট সাতটি বড় ঝড় আঘাত করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ছিল ২০০৭ সালের নভেম্বরে সিডর ও ২০০৯ সালের মে মাসের আইলা। এই দুটি ঝড়ের মধ্যে সিডর ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার গতি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে বাগেরহাটের কাছে বলেশ্বর নদ দিয়ে শরণখোলায় আঘাত করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App