করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুসল্লিদের রক্ষায় প্রত্যেক জেলা, উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রবেশমুখে জীবাণুমুক্তকরণ গেট স্থাপন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জীবাণুমুক্তকরণ গেট স্থাপনে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স কাউন্সিল (এনএলসি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ পাঠান। ধর্মসচিব ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে ই-মেইলে ও কুরিয়ারের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ পাঠানো অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু বলেন, মসজিদে আগত মুসল্লিরা জীবাণুমুক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে যাতে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য এ নোটিশ পাঠিয়েছি।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যায়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ ও মহামারির কারণে ভয়াল মরণ থাবা থেকে জীবনরক্ষায় মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে নামাজ আদায় করছে। যেকোনো মুহূর্তে মসজিদে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা করোনার সংক্রমণে পড়ে আক্রান্ত হয়ে জীবন হারানোর ঝুঁকিতে থাকে।

অতএব দেশের সব মসজিদের দরজায় মসজিদে আগত মুসল্লিদের জীবাণুমুক্ত করে ভেতরে প্রবেশ করার লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা বা উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদগুলোর প্রবেশমুখে ডিসইনফেকশনার গেট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেন মসজিদে আগত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জীবাণুমুক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করতে পারে। সরকারি খরচে ঈদের আগে ডিসইনফেকশনার গেট স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।