বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড গত বছর ৬৯৫ কোটি টাকা পরিচালনা মুনাফা আয় করেছে। যা আগের বছরের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি। ব্যাংকটির ২০১৮ সালে মুনাফা হয়েছিল ৫৭২ কোটি টাকা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে ব্যাংকটি সলো ভিত্তিতে কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ২১৯ কোটি টাকা।

সোমবার (১৮ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির ২০১৯ সালের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সলো ভিত্তিতে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭৭ টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৯৩ টাকা। ২০১৯ সালে সলো ভিত্তিতে শেয়ার প্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৬৫ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২৩ দশমিক ১২ টাকা। একই সময়ে সলো ভিত্তিতে শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়ায় শুন্য দশমিক ৯৮ টাকা, যা পূর্ববতী বছরে ছিল ঋণাত্মক (-) ২ দশমিক ৮৬ টাকা।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক চলতি বছরের ১৮ মে গত বছরের আর্নিংস ডিসক্লোজার অনুষ্ঠান আয়োজন করে, যা ব্যাংকটির ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বর্তমানের করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য অনলাইনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাহেল আহমেদ ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তারা ২০১৯ সালে ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল উপস্থাপন করেন এবং অনলাইনে অংগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বিশ্লেষক, পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পার্টনারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআরও মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ফয়সাল রহমান, হেড অব কনজিউমার ব্যাংকিং এএনএম মাহফুজ, হেড অব এমএসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ এম. ওমর তৈয়ব, হেড অব টিবি, এসএফডি ও আইডি শামস্ আবদুল্লাহ মোহাইমিন, সিওও আবদুল হালিম, হেড অব আইসিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন এবং হেড অব ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন্স নাজমুল করিম চৌধুরী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

রাহেল আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে প্রাইম ব্যাংক আর্থিক ফলাফলে বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। প্রধান প্রধান আর্থিক সূচকে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এটি খুবই আশাব্যঞ্জক যে, নতুন নতুন বাজার খোঁজার প্রচেষ্টা, নতুন ও বিচিত্র প্রোডাক্ট চালু, প্রসেস সহজিকরণ ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ইতিবাচক ফলাফল দিতে শুরু করেছে। মুনাফার মার্জিন হ্রাস ও কঠিন বাজার পরিস্থতি সত্ত্বেও ব্যাংকের প্রবৃদ্ধির এ গতিময়তা দেশের সেরা ব্যাংক হবার অগ্রযাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে।