রাষ্ট্রদূতদের জবাবদিহিতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ০৭:২৬ পিএম
বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের অধিকতর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের স্ব স্ব মিশনের আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পেশ করতে হবে। সোমবার (১৮ মে) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যেও গতকাল রবিবার ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দু’জন নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কর্মপরিকল্পনা পেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও রোমানিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী রবিবার তাদের কর্মপরিকল্পনা পেশ করেন। পরষ্পর অন্য রাষ্ট্রদূত বিদেশে দায়িত্বপালনকালে দেশের জন্য ও প্রবাসী বাংলদেশিদের জন্য কী কী কাজ করবেন এবং কী ধরনের উদ্যোগ নেবেন তা উপস্থাপন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। সংসদীয় কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রদূতদের দেশের ও জনগণের উন্নয়ন কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে উপদেশ ও দিক নির্দেশনা দেবেন। রাষ্ট্রদূতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেন তাদেরকে এ ধরনের পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, প্রবাসীরা যাতে বিদেশে খাবার কষ্টে না থাকে সেজন্য অর্থ পাঠানো হয়েছে এবং দুস্থ প্রবাসীদের খাদ্য সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকরা চাকুরিচ্যুত হলেও যাতে কমপক্ষে ৬ মাসের বেতন ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পায় সেজন্য দেনদরবার করা হচ্ছে। বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সাধারণ সরকারি ছুটির মধ্যেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোলা রাখা হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনী ও রাজাকারদের বিচার সম্ভব হয়েছে। এছাড়া গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ছাড়াও সংসদ সদস্য মো. হাবিবে মিল্লাত, কাজী নাবিল আহমেদ এবং নাহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।