×

জাতীয়

ট্রাক্সি-মাইক্রোবাস চালকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ০৩:৫৩ পিএম

ট্রাক্সি-মাইক্রোবাস চালকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি

মানবন্ধন

প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকসহ সকল হালকা যানাবহন চালকদের বকেয়াসহ চলতি মাসের বেতন ও বেসিকের সমান উৎসব ভাতা ঈদের আগে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ‘ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং ঢাকার বিভিন্ন থানায় থানায় ইউনিয়নের উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মানববন্ধন ও প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচী থেকে এ দাবি জানান হয়।

এসব বক্তারা বলেন, সাধারণ ছুটি ও করোনা দুর্যোগের মধ্যে ছাঁটাই বন্ধ, করোনা দুর্যোগ প্রতিরোধে ঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন গাড়ী চালকদের নগদ ও খাদ্য সামগ্রী সহায়তা এবং রেশন কার্ডের তালিকাভূক্তি করতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ঢাকা জেলা ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিরেশ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সধারণ সম্পাদক আহাসান হাবিব বুলবুল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, ইউনিয়নের সহ-সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সংগঠক ফজলুল হক শাহীন, মোহাম্মদ ফোরকান, আব্দুল করিম প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উৎসব পালনের অধিকারের মতই সারাবছরের কাজের ধারাবাহিকতায় উৎসব ভাতা পাওয়াও সকল শ্রমিকের অধিকার। কিন্তু প্রাইভেট কার-মাইক্রো চালকসহ হালকা যানবাহন চালকদের জন্য শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার ও সুরক্ষা সমূহ বাস্তবায়ন করা হয়না। শ্রম আইনের প্রয়োগ না থাকায় সারাবছর কাজ করানোর পর শুধু উৎসব ভাতা না দেওয়ার জন্য গাড়ি চালকদের ছাঁটাই করা হয়। এবছর করোনা দুর্যোগের অজুহাতে ছাঁটাই, বেতন কর্তন এবং উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত করার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেেয়ছে। নেতৃবৃন্দ দুর্যোগকালীন সময়ে কর্মচ্যূত করে গাড়ি চালকদের পরিবারসমূহ কে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে শ্রম অসন্তোষ তৈরী না করার অনুরোধ করেন এবং ঈদের পূর্বেই বকেয়াসহ চলতি বেতন ও পূর্ণ উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অদ্যবধি ৫৩ দিন যাবত সি.এন.জি অটোরিকশা, ট্যাক্সি কার চালকেরা কর্মহীন হয়ে উপার্জনের পথ বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপার্জনহীন ৫৩ দিনে পরিবারের সদস্যদের প্রতিদিনের খাবার যোগানই যেখানে অনিশ্চিত। তারা সরকারের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে শুধুমাত্র অধিক সংকটগ্রস্থ ২৫৪ জন সদস্যের একটি তালিকা একাধিকবার ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত একজন সদস্যও কোন ধরনের ত্রাণ সহায়তা পায়নি। যাতে শ্রমিকদের মধ্যে তৈরী হচ্ছে অসন্তোষ। নেতৃবৃন্দ ইউনিয়নের সরবরাহকৃত তালিকা অনুসারে করোনা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন শ্রমিকদের ঈদের আগেই খাদ্য সামগ্রী ও নগদ সহায়তা এবং রেশন কার্ড সরবরাহ করার জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, কলাবাগন, উত্তরা এলাকায় কর্মসূচী পালনের জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং উত্তরা এলাকায় পুলিশি বাধার নিন্দা জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App