×

অর্থনীতি

করোনাকালের বাজেটে বাড়ছে কর সুবিধা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ০৯:৩১ এএম

করোনাকালের বাজেটে বাড়ছে কর সুবিধা

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআর কর্মকর্তাদের বৈঠক

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কর সুবিধা আরো বাড়ছে। করপোরেট কর থেকে শুরু করে কমতে পারে করমুক্ত আয়কর সীমা। চলতি অর্থবছরে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমানো হয় করপোরেট কর। এবার করোনা মহামারির কারণে এই কর আরো কমিয়ে অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, প্রতি বছরের তুলনায় এবারের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের বিষয়টা ভিন্ন। করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থবিরতা বিরাজমান। ইতোমধ্যে এই মহামারি বাংলাদেশেও প্রকট আকার ধারণ করছে। দেশে সাধারণ ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সীমিত আকারে কিছু কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা প্রতিরোধে ইতোমধ্যে প্রায় লাখো কোটি টাকার ব্যাংক নির্ভর প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সুবিধায় পরিবর্তন আসছে আয়কর অধ্যাদেশে। কমানো হতে পারে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়সীমা, যা এতদিন আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা ছিল। এছাড়া অর্থপ্রবাহ বাড়াতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা দেয়া হতে পারে। এ লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও উচ্চপ্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় আরো বাড়িয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে ব্যবসায়ীরাও কর সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়া করোনা মহামারিতে কর ছাড় দেয়া হবে আগে থেকেই অনুমান করছেন ব্যবসায়ীরা। ভ্যাট ও কাস্টমসে কিছু খাতে আসতে পারে পরিবর্তন। বিশেষ করে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কর ছাড়ের আরো সুযোগ বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক কর্মকাÐ সচল রাখতে ব্যবসায়ীদের ঋণ সুবিধা থেকে কর মওকুফের সুবিধা দিতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, আগামী বাজেটে ব্যক্তি করদাতা থেকে শুরু করে ভ্যাট, আমদানি সব পর্যায়ে ছাড় দিতে হবে। কারণ যারা কর দিবেন তারা নিজেরাই অস্তিত্ব সংকটে, সক্ষমতা না থাকলে কর দিবেন কীভাবে। তবে রাজস্ব আহরণের ধস ঠেকাতে আশার আলো হতে পারে প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানো। রাজস্ব আয়ের যেসব লিকেজ আছে তা বন্ধ করা। যেমন যারা কর ফাঁকি দিয়েছেন বা যারা ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না তাদের বিষয়ে কঠোর হওয়া। এর সঙ্গে এনবিআরের অটোমেশন প্রোগ্রামগুলোকে আরো স্বয়ংক্রিয় করতে হবে। যাতে কারো ওপর নির্ভর না হয়ে মানুষ কর দিতে পারেন বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ। সূত্র আরো জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারো ব্যবসায়ীদের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয় এনবিআর। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। বাজেটের সাবির্ক বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান ও বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো বৈঠক হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App