×

জাতীয়

ত্রাণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত যৌনকর্মীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২০, ০৫:১৩ পিএম

ত্রাণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত যৌনকর্মীরা

সঙ্কটে যৌনকর্মীরা।

করোনা পরিস্থিতিতে নিজের এবং পরিবারের খাদ্য সঙ্কট থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যৌনকর্মীরা। যৌনকর্মীদের ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত বাধার (যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা, থাকলেও তা সঙ্গে না রাখা, অনেকে ১৮ বছরের আগেই এই পেশায় জড়িয়ে পড়ে ইত্যাদি) কারণে বিভিন্ন ত্রাণ কর্মসূচিতে তাদের নাম লেখানো বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আর এসব কারণে তাদের অনেকেই ত্রাণ প্রাপ্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বিগত মাসগুলোর তুলনায় দেশে লকডাউনের সময়ে তাদের উপর সহিংসতা ও নির্যাতন বেড়েছে কয়েক গুণ বেশি।

রবিবার (১৭ মে) দুপুরে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় উন্নয়ন সংগঠন লাইট হাউজ। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন লাইট হাউজের প্রধান নির্বাহী মো: হারুন-অর-রশিদ। ইউএনএইডসের প্রতিনিধি ডা. সায়মা খান, ইউএনএফপির প্রতিনিধি ডা. রাহাত আরা নূর, সেভ দ্যা চিলড্রেন বাংলাদেশের এইচআইভি/এইড প্রগ্রামের চিফ অব পার্টি ডা. লিমা রহমান, সেক্সওয়ার্কার নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার লিলি বক্তব্য রাখেন।

মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, দেশজুড়ে কার্যত লকডাউনের পর থেকে যৌনপল্লীসহ রাস্তা, বাসা ও হোটেল ভিত্তিক নারী যৌনকর্মী এবং পাশাপাশি পুরুষ ও হিজড়া যৌনকর্মীদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ প্রেক্ষিতে যৌনকর্মীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যেসব যৌনপল্লী ত্রাণ পাচ্ছে সেখানেও পল্লীর অভ্যন্তরে প্রভাবশালীদের জন্য ত্রাণের সুষম বন্টন হচ্ছে না। যৌনকর্মীদের মাঝে ত্রাণের সুষম বন্টন নিশ্চিত করার জন্য সকলের সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, দেশের গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র মানুষের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রান্তিক ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী, যৌন সংখ্যালঘু, হিজড়া, আদিবাসী এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে লাইট হাউজ। ইউএনএইডস, ইউএনএফপিএ, ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, গ্লোবাল ফান্ড/ সেইভ দ্যা চিল্ডেন/আইসিডিডিআরবি’র এর সহায়তায় ২৪ টি জেলায় নারী, পুরুষ এবং হিজরা যৌন কর্মী এবং ১১টি যৌনপল্লীতে বসবাসরত যৌনকর্মীদের জীবন মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, মানবাধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকদফা সুপারিশ জানানো হয়, যার মধ্যে যৌনকর্মীদের জন্য ত্রাণের পরিমাণ বাড়ানো এবং সুষম বন্টন নিশ্চিত করা, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এখনও যেটুকু ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তা থেকে যাতে কেউই বাদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখা, ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় যৌনকর্মীদের যুক্ত করা, যৌনকর্মীদের সন্তানরা যেন যথাযথ শিক্ষার সুযোগ দেয়া, করোনা পরিস্থিতিতে তারা যেন মানসিক মনোবল হারিয়ে না ফেলে সে লক্ষ্যে নিয়মিত মনো-সামাজিক সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জে যৌনকর্মীরা যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে বিকল্প আয়ের উৎসের সন্ধান দেয়া, বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানে সরকারের সহযোগিতা, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App