প্রাভা হেলথ এর পিসিআর ল্যাব-এ কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালু হয়েছে। এ পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার থেকে অনুমতি পত্র গ্রহণ করেছে প্রাভা। এখন থেকে কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য প্রাভার হটলাইন ১০৬৪৮ বা হোয়াটসঅ্যাপে ০১৮৮৬৫৫৫২০০-এ মেসেজ করে রোগীরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবে। রবিবার (১৭ মে) প্রতিষ্ঠানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক তথ্য জানানো হয়।

রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে, প্রাভার (mobile phlebotomists) মোবাইল ফ্লেবোটমিস্ট পরীক্ষার জন্য যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদের বাসা থেকে নাসোফেরেঞ্জিয়াল নমুনা (অনুনাসিক সোয়াব দ্বারা) সংগ্রহ করবেন এবং নমুনাগুলি প্রাভার স্টেট-অফ-দ্যা-আর্ট পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীরা সরাসরি প্রাভায় এসে নমুনা দিয়ে যেতে পারবে না এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রাভার মোবাইল অ্যাপ ও ইমেলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং সিইও, সিল্ভানা সিনহা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, এই মহামারী সময়ে সবকিছু কঠিন হয়ে পড়েছে এবং কোভিড-১৯ এর জন্য পরীক্ষা করা কতটা কষ্টসাধ্য হতে পারে । এই জটিল সময়ে আমাদের রোগীদের সেবা করতে এবং আমাদের দেশের সামগ্রিক পরীক্ষার প্রয়োজনে অবদান রাখতে পেরে আমরা সত্যই সন্তুষ্ট এবং আমাদের এই উদ্যোগের অংশ হতে দেয়ার জন্য আমাদের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকালে রোগী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে ব্যাপক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রাভা হেলথ:

প্রথমত, যারা কোভিড-১৯ এর জন্য হোম স্যাম্পল সংগ্রহ করছে তাদের জন্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহন সহ কঠোর ক্লিনিকাল প্রোটোকল বজায় রাখা হচ্ছে। রোগীদের বাড়িতে যাওয়ার আগে তারা সুস্থ আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে তাদের লক্ষণগুলির প্রতিদিন পরীক্ষা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য যেই টিম বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে তারা অন্যান্য রুটিন পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহকারী টিম থেকে আলাদা। অর্থাৎ, যে দলটি নন কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে রোগীদের বাড়িতে যায়, তারা কোন ভাবেই করোনা ভাইরাস বা সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে আসে না।

প্রাভা হেলথ দেশে পারিবারিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় এবং প্রযুক্তির পরিচয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার প্রতিবন্ধকতা দূর করছে।